কলকাতা: মাঝে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধান। সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ছিল বৈঠক। যে বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের বেশিরভাগ দাবি মানা হয়েছে। আন্দোলনকারীরাও সেকথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বাকি দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আর সেই দাবিগুলি নিয়ে বুধবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে দৃশ্যতই হতাশ তাঁরা। এমনকি, বৈঠকের মিনিটসেও আন্দোলনকারীরা সই করেননি।
সোমবারের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি নর্থকে সরানো হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর কথাও বলেন তিনি। পরদিনই সরানো হয় সিপিকে। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, তাঁদের চতুর্থ ও পঞ্চম দফা পূরণ হয়নি। সেই কারণে তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ-সহ বাকি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য এদিন ইমেল করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সন্ধে সাড়ে ৬টায় নবান্ন সভাঘরে তাঁদের বৈঠকের জন্য ডাকেন।
এদিন ৩০ জন জুনিয়র ডাক্তার বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা বৈঠকের মিনিটসে সই করেননি। তাঁদের বক্তব্য, পাঁচ দফা দাবির পাঁচ নম্বর পয়েন্ট ছিল থ্রেট কালচারের অবসান। যার লক্ষ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, আরডিএ গঠনে নির্বাচন নিয়ে আশ্বাস মিলেছিল আলোচনা পর্বে। তবে মিনিটসে তার উল্লেখ নেই। মিনিটসে শুধু সুপ্রিম কোর্টে যে নিরাপত্তার বিষয়গুলো বলা ছিল, সেগুলিই রয়েছে। পঞ্চম দফা নিয়ে আলোচনা যেহেতু মিনিটসে নেই, তাই মিনিটসে সই করেননি আন্দোলনকারীরা।
দৃশ্যতই হতাশ জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “এদিনের আলোচনা হতাশাজনক। আজকের ঘটনায় প্রমাণ হল, কেন স্বচ্ছতার প্রশ্নে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। আমরা কিছুটা হলেও ভরসা হারিয়েছি।” আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, পঞ্চম দফা দাবি কার্যকর না হলে কর্মবিরতি চলবে। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “আমাদের দাবি নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা ইমেল করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।”