কলকাতা : শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ীদের কি বক্তব্য? কৌতূহল প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন আচমকাই এই প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে চর্চা তুঙ্গে। আদালতে চলছে একগুচ্ছ মামলা। পুরোদমে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আসার পর, বিশেষত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই আবহেই নোবেলজয়ীদের মতামত জানতে চাইলেন বিচারপতি।
এদিন একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘নোবেল জয়ীরা স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কি বলছেন? অমর্ত্য সেন রয়েছেন, যিনি প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে কাজ করছেন। রয়েছেন আর এক নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ বিচারপতি আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতিতে এই স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের বক্তব্য কী? ওঁরা তো আরও অনেক বিষয়ে বলেন, তাই এটা নিয়েও কিছু বলেন কি না, সেটা জানতে চাইছিলাম।’
এ ব্যাপারে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় অমর্ত্য সেনের পুরো বক্তব্যটা পড়লে বোঝা যাবে, যে ভাবে দেখানো হচ্ছে, তিনি সেইভাবে বলেননি। আমি পুরো লেখাটা পড়েছি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা থাকলেও, বিজেপির বিরুদ্ধে আমজনতার তৈরি হওয়া হতাশা নিজের দিকে টানতে পারেন কি না, সেটি এখনও তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডিএমকে, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন তিনি।