কলকাতা: মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। সুপারিশপত্র না থাকা সত্ত্বেও তিন বছর ধরে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে অনিমেষ তিওয়ারি নামে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এবার সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ওই মামলায় ডিআইজি সিআইডি-কে তলব করেছিলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হন তিনি। তাঁকে তদন্তভার দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, ‘এবার দুর্নীতি হলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।’ এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী মামলা করেছেন হাইকোর্টে। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের ওই ভূগোল শিক্ষকের অন্য প্রার্থীর সুপারিশপত্র নকল করে চাকরিতে যোগ দেন। আর এক প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এদিন বিচারপতি আদালতের তত্ত্বাবধানে ডিআইজি সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে সিআইডি-কে। আপাতত ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বেতনও। পাশাপাশি, ডিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ডিআই না জানলে কীভাবে এমন হতে পারে? বিচারপতির আশঙ্কা, ডিআই জড়িত আছেন। ডিআই সন্দেহের বাইরে নয়।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের এসএলএসটি ২০১৬ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে, তাই প্রাথমিকভাবে সিআইডি তদন্ত নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এবিষয়ে আপত্তি জানান। তাঁর বক্তব্য ছিল, এতে দুই তদন্তকারী সংস্থার সমস্যা হবে।
মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি বলে অভিযোগ। বুধবারই আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মেধাতালিকাতেই নাম ছিল না অনিমেষের। কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে আর এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে।