Kalyani Blast: কল্যানীর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপোর্ট তলব নবান্নের
Kalyani Blast: নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

কলকাতা: কল্যানীর বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলাশাসককে আলাদা করে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এবার পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি জেলাশাসককেও আলাদা করে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হল। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রাতে ঘটনা পরিদর্শন করতে আসে রাজ্যের স্পেশ্যাল ট্রাক ফোর্স। দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় একটি বেআইনি বাজির কারখানা। কোন অনুমতি নেই তাদের যা সম্পূর্ণ বেআইনি। ঘটনা পর বাড়ির মালিক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনাস্থলে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এর গায়ে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে। বিস্ফোরণে প্রচন্ড আওয়াজে কেঁপে উঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে টিনের ছাউনি উড়ে যায়। পুড়ে যায় আশপাশের গাছ-সহ কারখানার যাবতীয় সামগ্রী। পরে স্থানীয় মানুষ জন উদ্ধারে নামে। ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ চলে আসে। তার পর দমকলের গাড়ি গেলেও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি রাস্তা না পাওয়ায়। তবে দমকল কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা দেহ গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে নদিয়ার ডিভিশন্যাল ফায়ার অফিসার সুব্রত গুহ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, এই বাজি তৈরির কারখানায় কোন বৈধ লাইসেন্স ছিল না বলে তাঁর দাবি। এদিকে দমকল আসবার আগেই স্থানীয় মানুষজন জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বিভাগের পর ঘটনাস্থলে যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির শুভঙ্কর সরকার ও রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।





