AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kasba College: মাথায় জেঠুর হাত! ভর্তির জন্য ‘পার হেড’ ২ লক্ষ করে নিতেন ওই TMCP নেতা? বড় অভিযোগ কসবা কলেজে

Kasba College: এই সিন্ডিকেট নিয়ে মুখ খুলেছে বিরোধী দলের ছাত্রনেতারা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ২০১১ থেকে ক্যাম্পাসে সিন্ডিকেট শুরু করে তৃণমূল। বিধায়ক থেকে সাংসদ, সবার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়। অবিলম্বে এই অবৈধ ছাত্র সংসদ বন্ধ হওয়া উচিত।

Kasba College: মাথায় জেঠুর হাত! ভর্তির জন্য 'পার হেড' ২ লক্ষ করে নিতেন ওই TMCP নেতা? বড় অভিযোগ কসবা কলেজে
কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নয়া তথ্যImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2025 | 2:54 PM
Share

কলকাতা: আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ঠিক যেভাবে রাজ্য জুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচারে’র বিষয় সামনে এসেছিল, সেভাবেই এবার কসবার ঘটনার হাত ধরে সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। রীতিমতো ভর্তির সিন্ডিকেট চলত! এমনই অভিযোগ উঠছে কলেজের ছাত্রদের মধ্যে থেকেই।

অভিযোগ উঠেছে, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে অ্যাডমিশনের নেক্সাস চালাতেন ওই টিএমসিপি নেতা, যিনি এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। কলেজের ছাত্রদের একাংশের অভিযোগ, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ভর্তির রেট ছিল ২ লক্ষ টাকা করে। কলেজে এনট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার পর কাউন্সেলিং-এর সময় নাকি কলকাঠি নাড়তেন ওই অভিযুক্ত ছাত্রনেতা।

আরও অভিযোগ, ওই টিএমসিপি নেতাই শুধু নয়, পুরো বিষয়টাতে তাঁর মাথার উপর হাত ছিল শাসকদলের এক বিধায়ক তথা বার কাউন্সিলের উচ্চ পদাধিকারীর। তাঁর সুপারিশেই নাকি হত অ্যাডমিশন! মাঝখান থেকে পকেটে টাকা ঢোকাতো এই ছাত্রনেতাদের বাহিনী।

আরও জানা গিয়েছে যে ওই প্রবীণ বিধায়ককে জেঠু বলে ডাকতেন অভিযুক্ত নেতা। প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্ত নিজেকে কলেজে ‘জেঠুর লোক’ বলে পরিচয় দিতেন এমনটাও জানা যাচ্ছে। আসত সুপারিশ। মেধাতালিকায় নাম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে ভর্তি হওয়া যেত।

এই সিন্ডিকেট নিয়ে মুখ খুলেছে বিরোধী দলের ছাত্রনেতারা। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ২০১১ থেকে ক্যাম্পাসে সিন্ডিকেট শুরু করে তৃণমূল। বিধায়ক থেকে সাংসদ, সবার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়। অবিলম্বে এই অবৈধ ছাত্র সংসদ বন্ধ হওয়া উচিত। তবে টিএমসিপি সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীর দাবি, অভিযুক্তের কোনও দায় তৃণমূল নেবে না। বাম আমলে কলেজে কলেজে কী হত, সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “বিভিন্ন কলেজে এগুলো চলে। আমরা তো এন্ট্রান্স দিয়ে পড়েছি। আর এখন মেধা থাকলেও পড়ার সুযোগ পায় না। এবার বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব জানিয়েছেন, কলেজের পড়ুয়ারা তাঁকে জেঠু বলে ডাকতেন। তিনি বলেন, “আমার অবারিত দ্বার। অনেকে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। নেতা-মন্ত্রীদের পক্ষে সিকিউরিটি চেক করে লোক ঢোকানো সম্ভব নয়।” তবে যে অন্যায় হয়েছে, তার কঠোর শাস্তি হোক বলে দাবি করেছেন অশোক দেব। সোমবার কলেজে জিবি মিটিং-এ যোগ দেবেন তিনি।