AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kasba Kidnapped: শপিং মলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করল ‘পুলিশ’, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করল গুন্ডাদমন শাখা

Kasba Kidnapped: গুন্ডাদমন শাখা এবং কসবা থানার একটি দল তল্লাশি শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। অফিস ও এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।

Kasba Kidnapped: শপিং মলের সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করল 'পুলিশ', ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করল গুন্ডাদমন শাখা
কসবায় অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2022 | 2:13 PM
Share

কলকাতা: ভর দুপুরে শহরের জনবহুল এলাকায় শপিং মলের সামনে থেকেই ‘অপহৃত’ ব্যবসায়ী। অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হল ব্যবসায়ীকে। কসবার একটি শপিং মলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীকে। পুলিশ সেজে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কুতুবদ্দিন গাজি নামে ওই ব্যবসায়ী বসিরহাটের বাসিন্দা। বুধবার কসবার শান্তিপল্লি এলাকায় এক শপিং মলের কাছে নিজের অফিসে এসেছিলেন তিনি। সেই অফিসে বুধবার সকালে সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে দুটি গাড়ি করে ৮-১০ জন ব্যক্তি আসেন। তাঁরাই অপহরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপহরণ করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ রেহান নামে অপহৃত ব্যবসায়ীর এক আত্মীয় কসবা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, একটি ফোন এসেছিল তাঁদের কাছে। জানানো হয় অপহরণ করা হয়েছে। ৪০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ চাওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ওই এলাকায় আসে কসবার থানার পুলিশ। গুন্ডাদমন শাখা এবং কসবা থানার একটি দল তল্লাশি শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। অফিস ও এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ঘটনাস্থলে যান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা ও সিপি ভিনীত কুমার গোয়েল।

বৃহস্পতিবার সকালে চারু মার্কেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ব্যবসায়ীর বসিরহাটে ইট ভাটা রয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর। তিনি কোনও অ্যান্টিকের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। সেই সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। অপহরণে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকেই যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শহরের একটি বেসরকারি সংস্থাতেও কাজ করতেন কুতুবুদ্দিন। কিন্তু ছেলে কী কাজ করতেন, তা জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। সপ্তাহের ছ’দিন তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। একদিন করে যেতেন গ্রামের বাড়িতে। শুধু তাই নয়, ছেলে যে অপহৃত হয়েছেন, সেটাও তাঁরা জানতেন না বলেই দাবি পরিবারের।

সিপি বলেছেন, এই ঘটনায় ব্যবসায়ীক রেষারেষি থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। ধৃতদের জেরা করে বাকি তথ্য পাওয়া যাবে। পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে কীভাবে এই ঘটনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাগুইআটিকাণ্ড: বুধবার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধার ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল? প্রতিবেশী মহিলার বয়ানে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরও পড়ুন:  লোন নিয়ে গাড়ি কেনেন, চেক বাউন্স হওয়ায় ডাক পড়ে, নৈহাটিতে গাড়ির শোরুমে ক্রেতার ঝুলন্ত দেহ!