কলকাতা: মা পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে যেতে বারণ করেছিলেন। অভিমানে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কসবায়। মৃত ছাত্রের নাম সোহম বসু (২১)। তিনি নেতাজি সুভাষ ইন্সস্টিটিউট অফ টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ইলেট্রনিক কর্মাশিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
জানা যাচ্ছে, সোহম বিকালে বাড়িতেই ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিকালে সোহমের পাড়ারই কয়েকজন বন্ধু ক্রিকেট খেলার জন্য ডাকতে এসেছিলেন। সোহম খেলতে বেরোচ্ছিলেন। সে সময় তাঁর মা তাঁকে বকাঝকা করেন। সামনেই সেমিস্টার থাকায়, পড়ায় মন দিতে বলেছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাড়ার বন্ধুদের চলে যেতে বসেছিলেন সোহমের মা। তারপর সোহম নিজের ঘরে চলে যান। দীর্ঘক্ষণে ঘরের বাইরে না বেরনোয় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। প্রথমে ডাকাডাকি করতে থাকেন। তারপর সাড়া না পাওয়ায়, ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পরিবারের সদস্যরা।
সোহমে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। সোহমকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয়টিতে বাকরুদ্ধ সোহমের পরিবার। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে কসবা থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। কেবল ক্রিকেট খেলতে না দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এক প্রতিবেশী বলেন, “এমনটা কেউ করে! বাবা-মা তো বকাবকি করতেই পারেন। কী অবুঝের মতো কাণ্ড!”