Kolkata Metro: মাটি দুর্বল ছিল বলেই কি আজ এভাবে ভাঙছে পিলার! কলকাতা মেট্রো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিশেষজ্ঞদের
Kavi Subhash Metro: গত সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। আপাতত খোলার কোনও সম্ভাবনাও নেই। গোটা স্টেশনই নতুন করে বানাতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

কলকাতা: ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে তৈরি হয়েছিল কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। তারপর থেকে বিগত ১৫ বছর ধরে যাত্রী পরিষেবা চালু আছে। কিন্তু পিলারে ফাটল ধরার পর থেকেই বেড়েছে বিপদের আশঙ্কা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্টেশন। পুরো স্টেশন ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে বলে জানানো হয়েছে, যা করতে প্রায় এক বছর লেগে যাবে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমন অবস্থা হল? কেন আগে নজরদারি চালানো হল না? কেনই বা আগে ধরা পড়ল না?
নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের কথায়, রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঠিক নজরদারি ঠিকমতো হলে এই ফাটল শুরুর সময়েই আটকে দেওয়া যেত। কিন্তু যেভাবে ফাটল ধরতে ধরতে বড় আকার ধারণ করেছে, তাতে এই মেট্রো স্টেশনের সম্পূর্ণ সংস্কার না হলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের ইতিহাস বলছে, ২০১০ সালে যখন মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়, তখন এই এলাকার মাটির দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই কি এই অবস্থা!
সেই সময় মাটির গুণগত মান ঠিক না থাকায় অনেকে এই অংশে মেট্রো স্টেশন তৈরির ব্যাপারে বিরোধিতা করেছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে দুর্বল মাটিকে শক্ত করতে একাধিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কলকাতা মেট্রো। সঠিক পদ্ধতিতে পাইলিং করা, মাটির উপরে মাটি ফেলা, খনন কাজ ও বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করা সহ একাধিক পদক্ষেপ করতে হয়েছিল কলকাতা মেট্রোকে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভূ-গর্ভের উপরে থাকা মেট্রোর স্তম্ভ এবং অন্যান্য গার্ডারের স্বাস্থ্য অডিট হয় কি না। নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতি দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে একবার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অডিট হওয়া প্রয়োজন। অডিট না হলে এই ত্রুটিবিচ্যুতি বের করা সম্ভব হবে না।
আগামিদিনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে মেট্রোর অন্যান্য স্তম্ভগুলির জন্য! এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “কংক্রিটের তৈরি একটি প্লাটফর্ম। সেটা তো ১০০ বছর যাওয়ার কথা। ১৫ বছর পর ভেঙে ফেলতে হচ্ছে মানে বুঝতে হবে নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রুটি ছিল। এটা আতঙ্কের বিষয়।”
