ত্রিপুরা কাণ্ডের বদলা নিতেই কি সজল ঘোষের গ্রেফতারি? কী ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: 'এখানকার যে স্বৈরাচারী সরকার, তার যে বিরোধিতা করবে কথা শুনবে না তাকে শেষ করার চেষ্টা করবে।'

ত্রিপুরা কাণ্ডের বদলা নিতেই কি সজল ঘোষের গ্রেফতারি? কী ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 7:49 AM

কলকাতা: বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়িতে যে হয়েছে, সেটা ত্রিপুরা কাণ্ডের বদলা নিতে পারে তৃণমূল। তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

রবিবার সকালেও নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। একাধিক ইস্যুতে প্রশ্ন করার পাশাপাশি সজল ঘোষ-ইস্যুতেও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, সজল ঘোষের বাড়িতে যেটা হয়েছে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিশোধ নেওয়া হল কী? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেটাও হতে পারে। এখানকার যে স্বৈরাচারী সরকার, তার যে বিরোধিতা করবে কথা শুনবে না তাকে শেষ করার চেষ্টা করবে। কেউ যদি বিরোধী পার্টি করে, তাঁদের সুস্থ ভাবে থাকতে দেওয়া হবে না।”

শনিবারই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতারির কায়দা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ। তিনি বলেন, “সজলের গ্রেফতারের ঘটনা সিনেমা সিরিয়ালের ঘটনার মত। অথচ কেউ ধর্ষিতা বা খুন হলে পুলিশ এত তৎপর হয় না। বিরোধীদের ট্যুইট দেওয়ার জন্য ফলস কেস দেওয়া হয়েছে। এই রকম ফলস ৩৫ হাজার কেস আছে। পুরো বিষয়টি দিল্লিতে জানানো হয়েছে।”

শুক্রবার রাতে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে  এদিন শুনানি পর্ব সরকারি ও অভিযুক্ত আইনজীবীর বচসায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের তরফে আগামী ২৩ অগস্ট পর্যন্ত হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল।

শুনানি শুরু হতেও অভিযুক্তের আইনজীবীরা নিজেদের যুক্তি সাজাতে থাকেন। অভিযোগকারী আইনজীবীকে কথাও বলতে দেওয়া হয় না। এফআইআর-র কপিতে এক লেখার উপর আরেক লেখা থাকায় একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করা হয়।

ধৃত সজল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় একাধিক মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি এলাকার এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁর দোকান থেকে ২৫-৩০ হাজার লুঠ করেছেন। এর পাশাপাশি শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ক্লাব ভাঙচুরেরও অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু সজলবাবুর বাড়ির বক্তব্য, অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো বা লুঠের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।  এদিকে, গ্রেফতারির সময়ে তাঁকেও হেনস্থা করা হয়েছিল, ছিলেন না কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী, এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন সজল ঘোষের স্ত্রীও। আপাতত সজল ঘোষ ইস্যুতে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। আর তেঁতে রয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। আরও পড়ুন: আটক করেও ছেড়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত চিকিত্সককে! পানিহাটি ৩০০ টাকায় ভ্যাকসিনকাণ্ডে কতটা তত্পর প্রশাসন?