Gariahat Murder: বাইরে থেকে বন্ধ দরজা, একতলায় বাড়ির মালিক, দোতলায় গাড়ি চালকের লাশ! গড়িয়াহাটে জোড়া ‘খুন’
Kolkata: রাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোকজন গড়িয়াহাট থানায় ফোন করে জানায়, সুবীরবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ।
কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতায় জোড়া খুন। গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাকুলিয়া রোডের দোতলা একটি বাড়ি থেকে গতকাল গভীর রাতে ষাটোর্ধ্ব দুই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি দেহ দোতলার ঘরে পড়েছিল। অন্য দেহটি পড়েছিল বাড়ির একতলায়। দুজনের দেহের হাতে, পায়ে ও গলায় ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাত মিলেছে। মৃতের নাম সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডল।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে, ৭৮ এ কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি মালিক সুবীর চাকি। তিনি ও তাঁর গাড়ি চালক রবীন মণ্ডল খুন হয়েছেন। সুবীর এখন নিউ টাউনে থাকতেন। কাকুলিয়া রোডের বাড়িটি মোটা দামে বিক্রি করতে চাইছিলেন। একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তাও চলছিল। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিউ টাউন থেকে গাড়িতে কাকুলিয়া রোডে আসেন সুবীরবাবু। সম্ভবত কোনও ক্রেতাকে সম্পত্তি দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে পুলিশের অনুমান।
রাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোকজন গড়িয়াহাট থানায় ফোন করে জানায়, সুবীরবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ। তাঁর ও তাঁর চালকের খোঁজ মিলছে না। রাতে পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে। সুবীরবাবু ও তাঁর চালকের মোবাইল ফোনের হদিশ নেই। সুবীর চাকির দেহ পাওয়া গিয়েছে বাড়ির এক তলায়। দোতলায় পড়ে ছিল গাড়ি চালকের দেহ। দুজনেরই দেহ ক্ষতবিক্ষত ছিল।
এখনও পর্যন্ত এর চেয়ে তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি। তবে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সম্পত্তিগত ব্যাপারেই খুন হতে থাকতে পারেন। তবে তদন্তের স্বার্থে বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা।
দেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কখন খুন, সেই সময়টা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সে সময়ের আশেপাশে সুবির চাকির মোবাইলে কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছে, কোন নম্বরে ফোন গিয়েছে, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে কোনও ‘ক্লু’ হাতে আসতে পারে পুলিশের। সুবির চাকির সঙ্গে কোনও ব্যক্তির পুরনো শত্রুতা ছিল কিনা, সেটাও পরিবারের সদস্যদের থেকে জানছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: নাছোড় হবু চিকিৎসকদের ঠেকাতে এবার কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্যভবন?