R G Kar Hospital: নাছোড় হবু চিকিৎসকদের ঠেকাতে এবার কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্যভবন?

RG Kar Hospital: এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্য ভবন?

R G Kar Hospital: নাছোড় হবু চিকিৎসকদের ঠেকাতে এবার কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্যভবন?
স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে আজ বৈঠক (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 8:08 AM

কলকাতা: আর জি করের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ছাত্রদের এই দাবিতে সায় দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে স্বাস্থ্য ভবন?

স্বাস্থ্য ভবন যে পদক্ষেপগুলি করতে পারে

অতিমারির সময়ে হবু চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বেআইনি, সে কথা জানিয়ে আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। এসএসকেএমে নার্সদের আন্দোলন তুলতে এই ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

PGT-দের ডিউটিতে থাকা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিতে পারেন কর্তৃপক্ষ।

ডিউটিতে না থাকলে হতে পারে শো-কজ নোটিস জারি।

ইন্টার্নদের স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন পাওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

ডিউটিতে অনুপস্থিতি নিয়ে ভিজিল্যান্সের সম্ভাবনা রয়েছে।

ছাত্রদের সভায় উপস্থিত চিকিৎসকদের ভূমিকাও স্বাস্থ্য ভবনের আতস কাচের তলায়

জট যেন কিছুতেই কাটছে না আর জি করে। হবু ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে থমকে গিয়েছে আরজিকরের চিকিৎসা পরিষেবা। খোদ হাসপাতালের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সেই কথা। এক্সলুসিভ সেই পরিসংখ্যান এসেছে টিভি নাইন বাংলার হাতে।

৯ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা। গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন চলাকালীন বেলগাছিয়া ব্রিজে ইন্টার্নদের উপরে স্থানীয় কয়েকজন দুষকৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তার পরের দিনই ইন্টার্নদের ডিউটি বয়কট করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায় জুনিয়র রেসিডেন্টরাও। আর সেই সবেরই প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায়।

জরুরি বিভাগ থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের। শনিবার সেই ছবি তুলে ধরেছিলাম আমরা। রবিবারও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। পরিসংখ্যান বলছে, কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পরে রোগী ভর্তির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে আর জি করে। প্রসূতি মায়েরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।

রেহাই নেই শিশুদেরও। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালে এই অচলাবস্থার দায় কার! সাধারণ মানুষের আশা, পুজোর ছুটির পরে চেনা ছন্দে ফিরবে সরকারি হাসপাতাল চত্বর। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মেরুদণ্ড যে হবু ডাক্তারেরা, তাঁরা কাজে না ফিরলে অবস্থা কোন দিকে যাবে? তাই ভেবে শিউরে উঠছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা।

আন্দোলনকে সমর্থন করে যে সকল চিকিৎসক সংগঠন বিবৃতি জারি করেছেন, তারাও কি এর দায় এড়াতে পারেন? সেই প্রশ্নও রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের টানাপড়েনে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ভুগতে হবে কেন? সদুত্তর নেই কোনও!

প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালের দায় কার? পুজোর পর কেন ছন্দে ফিরছে না আরজিকর হাসপাতালের পরিষেবা? ইন্টার্নরা কাজ না করলে কোথায় পৌঁছবে পরিষেবা? ইন্টার্নদের কর্মবিরতিতে সমর্থন করেছেন জুনিয়র চিকিত্সকরাও। প্রশ্ন উঠছে আরও একটি বিষয় নিয়ে। জুনিয়র চিকিত্সক, ইন্টার্নরা কাজ না করলেও কেন ছুটিতে সিনিয়র চিকিত্সকরাও?

আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: অনশনে নাছোড় ইন্টার্নরা, ক্রমেই নিম্নমুখী রোগী ভর্তির পরিসংখ্যান! কোথায় সিনিয়ররা?