R G Kar Hospital: অনশনে নাছোড় ইন্টার্নরা, ক্রমেই নিম্নমুখী রোগী ভর্তির পরিসংখ্যান! কোথায় সিনিয়ররা?
R G Kar Hospital: ৯ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা। গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন চলাকালীন বেলগাছিয়া ব্রিজে ইন্টার্নদের উপরে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
কলকাতা: হবু ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে থমকে গিয়েছে আরজিকরের (R G Kar Hospital) চিকিৎসা পরিষেবা। খোদ হাসপাতালের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সেই কথা। এক্সলুসিভ সেই পরিসংখ্যান এসেছে TV9 বাংলার হাতে।
৯ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা। গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন চলাকালীন বেলগাছিয়া ব্রিজে ইন্টার্নদের উপরে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তার পরের দিনই ইন্টার্নদের ডিউটি বয়কট করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায় জুনিয়র রেসিডেন্টরাও। আর সেই সবেরই প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায়।
জরুরি বিভাগ থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের। শনিবার সেই ছবি তুলে ধরেছিলাম আমরা। রবিবারও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। পরিসংখ্যান বলছে, কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পরে রোগী ভর্তির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে আর জি করে। প্রসূতি মায়েরাও রয়েছেন সেই তালিকায়।
রেহাই নেই শিশুদেরও। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালে এই অচলাবস্থার দায় কার! সাধারণ মানুষের আশা, পুজোর ছুটির পরে চেনা ছন্দে ফিরবে সরকারি হাসপাতাল চত্বর। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মেরুদণ্ড যে হবু ডাক্তারেরা, তাঁরা কাজে না ফিরলে অবস্থা কোন দিকে যাবে? তাই ভেবে শিউরে উঠছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা।
আন্দোলনকে সমর্থন করে যে সকল চিকিৎসক সংগঠন বিবৃতি জারি করেছেন, তারাও কি এর দায় এড়াতে পারেন? সেই প্রশ্নও রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের টানাপড়েনে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ভুগতে হবে কেন? সদুত্তর নেই কোনও!
শিকেয় চিকিত্সা পরিষেবা
৪ অক্টোবর
চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা ১৫৪৮
৪ অক্টোবর
দিনে রোগী ভর্তি ১৫৭
৪ অক্টোবর প্রসূতি ভর্তি ৪৬
৪ অক্টোবর সন্তান প্রসবের সংখ্যা ৪১
১৫ অক্টোবর চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা ১০৭৬
দিনে রোগী ভর্তি ৭৪
প্রসূতি ভর্তি ১৯
সন্তান প্রসবের সংখ্যা ২২
শিশু ভর্তি ২৮
প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালের দায় কার? পুজোর পর কেন ছন্দে ফিরছে না আরজিকর হাসপাতালের পরিষেবা? ইন্টার্নরা কাজ না করলে কোথায় পৌঁছবে পরিষেবা? ইন্টার্নদের কর্মবিরতিতে সমর্থন করেছেন জুনিয়র চিকিত্সকরাও।
প্রশ্ন উঠছে আরও একটি বিষয় নিয়ে। জুনিয়র চিকিত্সক, ইন্টার্নরা কাজ না করলেও কেন ছুটিতে সিনিয়র চিকিত্সকরাও? প্রায় ধুঁকতে থাকা রোগীদের এনেও পরিষেবা মিলছে না সরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই রোগীর পরিবারের সদস্যরা জোর গলায় বলছেন, ‘এখানে থাকলে রোগী এমনিতেই মরে যাবে…’
এক সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা এমনভাবে ভেঙে পড়ার দায় কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন তুলছেন সচেতকরা।