NCTE 2021: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক বদল, বড় ঘোষণা

NCTE 2021: এবার থেকে স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলেও স্নাতকোত্তর স্তরে বি. এড সহ ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলে আবেদন করা যাবে প্রাথমিকের টেটে।

NCTE 2021: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক বদল, বড় ঘোষণা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় বদল (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 1:08 PM

কলকাতা: প্রাথমিক স্তরে (Primary Teachers) শিক্ষক নিয়োগে একাধিক নিয়মে রদবদল আনল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনসিটিই (NCTE)। এবার থেকে স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলেও স্নাতকোত্তর স্তরে বি. এড সহ ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলে আবেদন করা যাবে প্রাথমিকের টেটে। অন্যদিকে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির এডুকেশন টিচার এবং শারীরশিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য স্নাতকোত্তরে ৫৫ % নম্বর এবং ৩ বছরের ইন্ট্রিগ্রেটেড বি.এড- এম. এড প্রশিক্ষণ থাকলেও আবেদন করা যাবে। জানিয়েছে, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে আপাতত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়া হত, তবে এবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই)। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ৩১ মার্চের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয় এনসিটিই-গঠিত একটি কমিটি।

এতদিনে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে (টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) নেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার দায়িত্ব আছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হাতে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম শ্রেণি থেকে টেট নেওয়া হয় না।

বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করে এসএসসি। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনসিটিই জানিয়েছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট বা কেন্দ্রীয় টেট নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এর আগে সেপ্টেম্বরেই প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলে বড়সড় রদবদল হয়। একসঙ্গে ২১ টি জেলার প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে রদবদল করা হয়। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানায় শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি, নিয়োগ সহ নানা ইস্যুতে প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বারবার চাপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। ভুল প্রার্থীকে নিয়োগ করার কথা আদালতে স্বীকারও করে নিয়েছে রাজ্য। এরই মধ্যে এই রদবদল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের মতো করে কাউন্সিল সাজাতে চেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কলকাতা সহ মোট ২১ জেলার কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন বদল করা হয়েছে। অন্যান্য জেলার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম।

প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি বারবার চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগের একটি মামলায় তীব্র অস্বস্তিধে মধ্যে পড়তে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। প্রাথমিকের ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন ভুল প্রশ্নের উত্তরদাতাদের নম্বর দেওয়া হয়নি, সেই মর্মে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সভাপতিকে ডেকে পাঠায় আদালত।

আরও পড়ুন: Weather Update: ফের নিম্নচাপ, তবে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা বেছে বেছে কেবল এই জেলাগুলির জন্যই…

আরও পড়ুন: Leopard: সকালে কাজে গিয়েই দেখতে পেয়েছিলেন, খাঁচার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসেছিল ‘সে’