Leopard: সকালে কাজে গিয়েই দেখতে পেয়েছিলেন, খাঁচার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসেছিল ‘সে’

Jalpaiguri: অনান্য দিনের মতো রবিবার সকালে কাজে গিয়েছিলেন চা বাগানের ১২ নম্বর সেকশনের কর্মীরা। খাঁচার মধ্যে এই চিতাবাঘটি দেখতে পান শ্রমিকরা।

Leopard: সকালে কাজে গিয়েই দেখতে পেয়েছিলেন, খাঁচার মধ্যে ঘাপটি মেরে বসেছিল 'সে'
খাঁচা ধরা পড়ল চিতাবাঘ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 12:30 PM

জলপাইগুড়ি: বেশ কিছু দিন ধরেই তটস্থ ছিলেন গ্রামবাসীরা। কখনও বাড়ির উঠোন থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে ছাগল, কখনও মুরগি। তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন তাঁরা। চা বাগানে শ্রমিকরা এক-দু’বার ‘তার’ পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছিলেন। ফলে খবর যায় বনদফতরে। চিতাবাঘকে (Leopard) ধরতে জঙ্গলে ফাঁদ পাতেন তাঁরা। রবিবার সকালে মাল (Mal) ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানে খাচা বন্দি হয় সেই চিতাবাঘ।

অনান্য দিনের মতো রবিবার সকালে কাজে গিয়েছিলেন চা বাগানের ১২ নম্বর সেকশনের কর্মীরা। খাঁচার মধ্যে এই চিতাবাঘটি দেখতে পান শ্রমিকরা। এরপর মালবাজার বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে বন কর্মীরা গিয়ে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ টিকে গরুমারায় নিয়ে যান। বাঘের শারীরিক অবস্থা ভাল থাকলে, তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।

এক শ্রমিক বলেন, “অনেক দিন ধরেই একটা ভয় মনে কাজ করছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম চিতাবাঘ ঢুকছে গ্রামে। আমাদের অনেকের বাড়ি থেকেই পোষ্য উধাও হয়ে যাচ্ছিল। বাড়ির উঠোনে পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছিলাম আমরা। তখনই বনদফতরে খবর দিই।”

অন্যদিকে, এক বনকর্মী বলেন, “গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন চিতাবাঘ ঢুকছে গ্রামে। আমরা বিষযটা খতিয়ে দেখি। জঙ্গলে থেকে গ্রামে ঢুকছিল পশুটি। পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছি আমরা। তারপরই খাঁচা পাতা হয়। এর আগে একাধিকবার খাঁচা পাতা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে চিতাবাঘটি ধরা দিচ্ছিল না। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম। শনিবার রাতে আবারও খাবার দিয়ে খাঁচায় রাখা হয়। খাবারর লোভেই চিতাবাঘটি ধরা দেয়।”

সেপ্টেম্বরে মাসেই দার্জিলিঙে মুণ্ডা চা বাগানে একটি বাড়িতে আচমকাই চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে। বাড়ির এলাকায় ঢুকে ঘোরাফেরা করছিল সে। পরে চিতাবাঘটি ধীরে ধীরে ঢুকে যায় ঘরের একেবারে ভেতর।

স্বাভাবিকভাবেই ঘরের ভিতর বুনো চিতাবাঘকে দেখে প্রথমে যথেষ্ট ঘাবড়ে যান বাড়ির লোক। পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁরা। রাতের অন্ধকারে কী ভাবে চিতাবাঘকে এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরনো যায়, সেই পরিকল্পনাই চলে। ধীরে ধীরে চিতাবাঘটির সঙ্গে ভাব জমে যায় বাড়ির লোকজনের। এরপর তাঁরা তাকে আদর করা শুরু করে। একট সাহস করে এগিয়ে এসে তাঁরা গায়ে মাথায় হাত বোলালে চিবাঘাটও আদর খেতে থাকে নির্দ্বিধায়। কেউ কেউ আবার চিতাবাঘের সঙ্গে বন্ধুত্বের ছবি মোবাইল বন্দি করতেও শুরু করে দেয়। তবে কিছুতেই তেমন বিচলিত হয় না প্রাণীটি। এলাকায় খবর রটে যেতে ছুটে আসেন অনেকে। প্রত্যেকেই সেই দৃশ্য দেখে হতবাক।

চিতাবাঘ বাড়িতে ঢোকার খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন দার্জিলিং জেলার বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা এসে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে রীতিমতো হিমশিম খান। বাড়িতে শান্ত থাকলেও খাঁচায় বন্দি হতে মোটেই রাজি নয় সে। এরইমধ্যে চিতাবাঘটি এক বনকর্মীর পায়ে থাবা বসিয়ে দেয়। পরে তাকে বন্দি করে জোড় বাংলো রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায় বনকর্মীরা।

আরও পড়ুন: Weather Update: ফের নিম্নচাপ, তবে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা বেছে বেছে কেবল এই জেলাগুলির জন্যই…

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘এ জন্যই তো বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র,’ তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর