HMPV Signs and Symptoms: কী ভাবে বুঝবেন আপনি HMP ভাইরাসে আক্রান্ত?
HMPV Signs and Symptoms: প্রথম ২০০১ সালে সনাক্ত হয় এই ভাইরাস। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। কী ভাবে বুঝবেন আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত?
অবশেষে ভারতে ঢুকেই গেল চিনা ভাইরাস হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। ভারতে দুই শিশুর দেহে ধরা পড়েছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। এমনিতে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই এই ভাইরাসের উপসর্গ। তাহলে কী ভাবে বুঝবেন আপনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা?
এইচএমপিভি ভাইরাস প্রায় কোভিড ১৯, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বা নিউমোনিয়া গোষ্ঠীর ভাইরাস। তাই এই ভাইরাসের উপসর্গগুলিও অনেকটা কাছাকাছি। এইচএমপিভি ভাইরাস মূলত প্রভাবিত করে আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে। শিশু এবং বয়স্করা তীব্র শ্বাস কষ্টের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তবে এই ভাইরাস যে কেবল শিশু ও বয়স্কদের হতে পারে এমন নয়, কোভিডের মতোই সব বয়সের ব্যক্তিরা আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে।
প্রথম ২০০১ সালে সনাক্ত হয় এই ভাইরাস। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি।
কী ভাবে বুঝবেন আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত?
এইচএমপিভির লক্ষণগুলি ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো। কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এমনকি এই ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে।
HMPV-এর ইনকিউবেশন পিরিয়ড সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। অর্থাৎ তিন-ছয় দিনের মধ্যে শরীরের মধ্যে এই ভাইরাস বংশবিস্তার করে। এরপরেই শুরু হয় এই ভাইরাসের প্রভাব। সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে লক্ষণগুলি বিভিন্ন সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
কী একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে HMPV ভাইরাসের ছড়ায়?
অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের এইচএমপিভির সংক্রমণ ঘটে।
১। কাশি এবং হাঁচি থেকে বাতাসে সে জীবাণু নিঃসরণ হয় তাই শ্বাস নেওয়ার সময় আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
২। কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, কাছাকাছি গেলে বা হাত মেলালে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সংক্রমিত কোনও এলাকা স্পর্শ করলেও সেই ছোঁয়ার মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।
সিডিসি দেওয়া তথ্য অনুসারে ছোট বাচ্চা, বয়স্ক ব্যক্তিরা, এবং দুর্বল ইমুউন সিস্টেম সহ ব্যক্তিদের মধ্যে এই এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
কী বাঁচবেন HMPV থাবা থেকে?
এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে প্রায় কোভিডের মতোই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
১। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে এলে হাত-মুখ, পা ভাল করে সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
২। হাত না ধুয়ে চোখে-মুখে হাত স্পর্শ করা, খাবার খাওয়া নৈব নৈব চ।
৩। রাস্তাঘাটে সুবিধার জন্য স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। দরজা, সিঁড়ির রেলিং-এর মতো জায়গা স্পর্শ করলে ভাল করেহাত ধুয়ে নিন।
মনে রাখবেন এইচএমপিভি ভাইরাসের উপসর্গ প্রায় সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। এখন মরসুম বদলের সময়। এমনিই জ্বর, সর্দি লেগে আছেই। সঙ্গে রয়েছে ভাইরাল ইনফেকশন। তাই এই সময়ে জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তা ভাইরাল ইনফেকশন ভেবে ফেলে রাখবেন না। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে টেস্ট করান। বাড়িতে কোনও রোগী থাকলে তার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।