Delhi Election: রাজধানীতে নির্বাচনী দ্বৈরথ! দিনক্ষণ ঘোষণা করতেই যুযুধান আপ-বিজেপি
Delhi Election: আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এক দফায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ফল বেরোবে ৮ই ফেব্রুয়ারি, এমনটাই ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের।
নয়াদিল্লি: রাজধানীতে শোরগোল। মুখোমুখি লড়বে আপ-বিজেপি। নতুন বছর পড়তেই বেজে উঠল নির্বাচনের ডঙ্কা। রাজধানীতে এবার ভোটের আবহ। কনকনে ঠান্ডাতেই গণনা হবে নেতাদের ভবিষ্যৎ।
আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। এক দফায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ফল বেরোবে ৮ই ফেব্রুয়ারি, এমনটাই ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজধানীর ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের। এবার তার আগেই নির্বাচন শেষ করার দাবি কমিশনের।
রাজধানীর যুদ্ধে ইন্ডি জোট ছেড়ে যে কেজরিবালের দল একাই লড়বে তা আগেই ঘোষণা করেছিল বর্তমানের শাসক দল। তাদের যুদ্ধটা কিন্তু কংগ্রেস নয়, সরাসরি বিজেপির সঙ্গে এমনটাও আগেই স্পষ্ট করেছেন আপ নেতা সঞ্জয় রাউত। এবার হাজারো তর্ক বিতর্কের মাঝে দ্বৈরথের পালা।
ইতিমধ্যেই সব আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে শাসক দল আম আদমি পার্টি। ৭০টির মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি আপাতত ২৯টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উত্থান। দিল্লিতে এক দশক ধরে একাধিপত্য। নির্বাচনী যুদ্ধে বারবার পদ্ম শিবিরের হার। নতুন বছরের প্রথম নির্বাচনে কতটা অঙ্ক ধরে রাখতে পারবে কেজরিবাল? অতিশিতেই কি ফিরবে দলের আব্রু? পুরনো ঘর ফেরাতে পারবে বিজেপি? আপাতত দিল্লির নির্বাচন ঘিরে একাধিক প্রশ্ন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসন-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল আপ। আন্দোলন, উন্নয়ন, সাদা পোশাকে নেই কোনও কাদা, এই ছিল কেজরিবালের পরিচয়। কিন্তু গত এক-দেড় বছরে তাতে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে হয়েছিল হাজত বাসও। দলের মর্যাদা ধরে রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন অরবিন্দ। দায়িত্ব তুলে দেন অতিশির হাতে। এবার বছর ঘুরতেই বাজল নির্বাচনী নির্ঘন্ট। পুরনো হিসাব ভুলিয়ে নতুন করে মানুষের মন জয় করতে পারবে আপ? নাকি মোদী ম্যাজিকে ধরাশায়ী হবে কেজরিবালের তরি? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।