Cardiac Arrest: হৃদযন্ত্র বিকল! স্কুলে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল আট বছরের শিশু
Cardiac Arrest: কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরে মৃত্যু হয় আট বছরের তেজস্বিনীর। প্রতিদিনের মতোই সেদিনও স্কুলে গিয়েছিল সে। তবে সেখানে যে তার জন্য মৃত্যু অপেক্ষা তা টের পায়নি তেজস্বিনীর অভিভাবকরাও।
বেঙ্গালুরু: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক আট বছরের খুদের। স্কুলের মধ্যেই হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে তার শরীর। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরে মৃত্যু হয় আট বছরের তেজস্বিনীর। প্রতিদিনের মতোই সেদিনও স্কুলে গিয়েছিল সে। তবে সেখানে যে তার জন্য মৃত্যু অপেক্ষা তা টের পায়নি তেজস্বিনীর অভিভাবকরাও।
কর্নাটকের চামরাজনগর এলাকার বাসিন্দা এই ছোট্ট শিশুটি। প্রতিদিনের মতোই সেদিন স্কুল গিয়েছিল তেজস্বিনী। সেখানেই হঠাৎ করে নিজের ভার হারিয়ে অচেতন পড়ে যায় সে। চমকে ওঠে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তৎক্ষণাৎই তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা। যমে-মানুষে টানাটানি। কিন্তু মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পায় না খুদেটি। হাজারো চেষ্টার পরেও মৃত্যু হয় তার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তার শরীরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার মতো কোনও সমস্যা ছিল না। এমনকী পরিবার সূত্রেও দাবি, বেশ চনমনে ছিল তাদের সন্তান। তার স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া হত পুরোপুরিভাবে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা ইন্টারনেট জুড়ে। মানুষের অনিশ্চয়তার জীবন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছে নেটিজেনরা।
মূলত, হৃৎপিণ্ড হঠাৎ শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। সেই থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট এবং সংজ্ঞা হারিয়ে মৃত্য়ু হয় রোগীর। শারীরিক এই অবস্থাকেই বলা হয় কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্ট।
একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রতিবছর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু ঘটে মোট সাত লক্ষ মানুষের। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে ভারতকে বরাবরই ডায়াবেটিকের দেশ বলা হয়। কিন্তু সেই তকমাকে কার্যত হটিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করছে হৃদযন্ত্র বিকলের মতো ভয়াবহ রোগ।