৮ বছরের বাচ্চাকে বলেছিল সিগারেট কিনে আনতে, ‘যাব না’ বলতেই কপাল ফুঁড়ে দিল গুলি!
Crime: চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কপাল ফুঁড়ে গুলিটি নাকের কাছে আটকে রয়েছে। নাবালকের অবস্থা সঙ্কটজনক। অস্ত্রোপচার করে গুলিটি বের করার চেষ্টা চলছে।
পটনা: শীতে ঠকঠক করে কাঁপছিল, তাই বাড়ির বাইরেই আগুন পোহাতে বেরিয়েছিল আট বছরের কিশোর। ওটাই মস্ত ভুল ছিল তাঁর, কারণ এরপরেই তাঁর সঙ্গে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। সিগারেট আনতে অস্বীকার করায়, গুলি খেতে হল ওই নাবালককে। অভিযুক্ত সোজা তাঁর কপাল বরাবর গুলি করে। গুলি চালানোর পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
গুলি লাগলেও বরাতজোরে বেঁচে যায় ওই নাবালক। বর্তমানে তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুঙ্গের জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালক বাড়ির বাইরে আগুন পোহাচ্ছিল। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে সামনের দোকান থেকে সিগারেট কিনে আনতে বলে।
একে তো অজানা-অচেনা ব্যক্তি, তার উপরে আগুনের ওম ছেড়ে উঠতে অস্বীকার করে নাবালক। এরপরই ওই ব্যক্তি পকেট থেকে পিস্তল বের করে সোজা নাবালকের কপালে গুলি করে। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
এদিকে, গুলির শব্দ শুনেই ছুটে বেরিয়ে আসেন বাড়ির লোকজন। দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছে আট বছরের নাবালক। চারিদিক রক্তে ভাসছে। গ্রামবাসীদের সাহায্যেই তাঁকে প্রথমে জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নাবালককে মুঙ্গের সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায়, তাঁকে আরও বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কপাল ফুঁড়ে গুলিটি নাকের কাছে আটকে রয়েছে। নাবালকের অবস্থা সঙ্কটজনক। অস্ত্রোপচার করে গুলিটি বের করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নীতীশ কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও পুলিশি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় পলাতক সে। সম্ভবত সেই কারণেই অভিযুক্ত নিজে দোকানে যেতে চায়নি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।