আত্মরক্ষার জন্যে নারীদের তুলে নিতে হবে হাতিয়ার, এক অন্য লড়াইয়ের গল্প বলবে ঝুমুর
Jhumur: একদিন নিজের আত্মরক্ষার জন্য ঝুমুরকে লড়াই করতে হয়েছে গ্রামের জঙ্গলের মানুষ খেকো শিয়ালের সঙ্গে। কিন্ত আজ কি সে এই শহর কলকাতার মানুষরূপী নরখাদকদের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে ছবিতে।
সমাজ যতই নিজের নিয়ম রং বদলাক, নারী সুরক্ষা সর্বদাই প্রাসঙ্গিক। শিক্ষার হাত ধরে নিরাপত্তা কি সত্যি সমাজের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে? নারীরা কি সত্যি আজ স্বাধীনভাবে পথ চলতে পারে? প্রশ্ন থেকেই যায়। সম্প্রতিতে যে যে ঘটনা খাস কলকাতার বুকে ঘটে গিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে শহরের আলোর আড়ালে থাকা গ্রাম-গঞ্জের ছবিটা কতটা নিরাপদ? প্রশ্ন থেকেই যায়। আর এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে আসছে ঝুমুর। এক অন্যস্বাদের গল্প বানালেন এবার পরিচালক বরুণ দাস।
ঝুমুর গ্রামের মেয়ে। ঝুমুর মুর্মু। প্রচন্ড মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাতেও সমান দক্ষ। উচ্চ শিক্ষার জন্য সে পৌঁছায় শহর কলকাতায়। ভর্তি হয় শহরের এক নামী বিশ্ব বিদ্যালয়ে। নতুন শহর, নতুন সম্পর্ক, প্রেম, বন্ধুত্ব। কিন্ত হঠাৎই হোস্টেলের রুমে এক বান্ধবীর আত্মহত্যা বদলে দেয় ঝুমুরের জীবন। এই আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে, ঝুমুরের মনে হয়, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কি মেয়েরা আদৌ সুরক্ষিত? একদিন নিজের আত্মরক্ষার জন্য ঝুমুরকে লড়াই করতে হয়েছে গ্রামের জঙ্গলের মানুষ খেকো শিয়ালের সঙ্গে। কিন্ত আজ কি সে এই শহর কলকাতার মানুষরূপী নরখাদকদের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে ছবিতে।
এখানে নবাগতা রাজশ্রী ঝুমুরের চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর কাছে এমনই এক চরিত্রে কাজের সুযোগ পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জের মতো। রাজশ্রী সাধ্য মতো চেষ্টা করেছেন পর্দায় ঝুমুর হয়ে ওঠার। তাঁর কথায়, “এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুব ভাল। টানা দুই বছর ধরে এই চরিত্রের জন্য পরিশ্রম করেছি। আমি একজন আদীবাসী মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছি। গ্রামে গিয়ে শিখেছি তাঁদের আদপ কায়দা। মার্শেল আর্টের ট্রেনিং, কবাডি, ফুটবল খেলা, ট্রেনার রেখে সবটাই শিখেছি।”
ছবিতে রাজশ্রী ছাড়াও অভিনয় করেছেন, রাজেশ শর্মা, লাবণী সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, জন, সাহেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখেরা। ১৭ জানুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাবে এই ছবি।