জোজোকে গো-ব্যাক স্লোগান, মঞ্চে কী এমন ভুল করেন গায়িকা?

Jojo: তিনি তাঁর শ্রোতাদের প্রতি অবিচার করেননি। তবে নিয়েছিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ একদশক পর উত্তরপাড়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই স্মৃতিতে ফেরেন জোজা। কনসার্টের মাঝেই গান থামিয়ে ফেরেন স্মৃতিতে। 

জোজোকে গো-ব্যাক স্লোগান, মঞ্চে কী এমন ভুল করেন গায়িকা?
Follow Us:
| Updated on: Jan 05, 2025 | 7:20 PM

জোজো, বাংলার পপ গায়িকা। যাঁর গান শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন সঙ্গীত প্রেমীরা। তবে সেই জোজোকেই একবার শুনতে হয় গো ব্যাক স্লোগান। নেমে যেতে হয় মঞ্চ থেকে। শুনতে হয়, তাঁর সেই মঞ্চে গান গাইবার যোগ্যতা নেই। সবটা শুনেও তিনি তাঁর শ্রোতাদের প্রতি অবিচার করেননি। তবে নিয়েছিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ একদশক পর উত্তরপাড়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই স্মৃতিতে ফেরেন জোজা। কনসার্টের মাঝেই গান থামিয়ে ফেরেন স্মৃতিতে।

কী বললেন জোজো? 

উত্তরপাড়া গণভবন, খুব গুরুত্বপূর্ণ এক মঞ্চ। একটা সময় ছিল আমি, গৌতম ঘোষ আরও অনেক শিল্পীরা এখানে অনুষ্ঠান করেছি। ওই যে বললাম, শিল্পীদের জীবন সব সময় একরকম যায় না, যখন আমার নামের থেকে নামটা একটু বড় হল, তখন কোনও একটা বিশেষ রাজনৈতিক দল, আমার এক অনুষ্ঠানে গণভবনে এসে বলল– জোজো এখানে অনুষ্ঠান করতে পারে না। এটা অপসংস্কৃতি। এখানে পপ মিউজিক চলবে না। এটা গণভবন। যাঁরা আয়োজক, তাঁদের তো তখন কিছু করার নেই, টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। হাউসফুল। আমি মঞ্চে উঠলাম, তখন পুরো গ্যালারি থেকে স্লোগান উঠল– গো ব্যাক জোজো। আমার খারাপ লাগেনি। আমার ওদের জন্য খারাপ লেগেছিল, কারণ ওরা জানে না, ওরা কী করছে। কারণ সঙ্গীত তো সঙ্গীতই…। আমি একজন পেশাগত শিল্পী হিসেবে আমার শ্রোতাদের সঙ্গে অবিচার করতে পারি না। অনুষ্ঠান হল। কেউ কিছু বললেন না। তারপর আমি উত্তর পাড়ায় অনুষ্ঠান করা বন্ধ করে দিলাম। প্রায় এক দশক সময়ের জন্য। যার জন্য গণভবন কেন, উত্তরপাড়ার কোথাও অনুষ্ঠান করিনি। তবে আমার শ্রোতাদের ভালবাসা যে আমার প্রতি কতটা পোক্ত ছিল, সেটার প্রমাণ আজ। আমি উত্তর পাড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এটা ভগবানের আশীর্বাদ। আমার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা। আমি লক্ষ্য থেকে কখনও সরে যাইনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। কমেন্ট বক্সে উঠছে প্রতিবাদের ঝড়। নেটিজেনদের কেউ লিখলেন,  “জোজোর গান ভাল না লাগলেও অন্য জায়গায় চলে যান… কিন্তু কাউকে অপমান করার অধিকার শ্রোতাদের থাকা উচিৎ নয়।” কেউ লিখলেন, “উদ্যোক্তারা জানতেন না, গণভবনে কি ধরণের সংগীত পরিবেশিত হয়, দোষটা তো তাঁদের। শিল্পীর কাজই হল জনতার বিনোদন। উপচে ভরা শ্রোতাদের প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিল। নিশ্চয় রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অন্য গীতিকার সুরকারের গীত পরিবেশিত করা যায় না, শুধুমাত্র কবিগুরু সম্পর্কিত বিষয় ব্যতীত!”