OLXএ- ৮ হাজার টাকায় এসি বিক্রি করতে গিয়ে পকেট থেকে গেল ৫০ হাজার!
Kolkata Fraud Case: সেখান বলা হয় একটি এক টাকার কিউআর কোড যাবে এবং সেটিকে স্ক্যান করে পাঠাতে হবে সেই মোতাবেক গোপাল সেই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে পাঠিয়ে দেন।
কলকাতা: এসি মেশিন বিক্রি করবে বলে ওয়েলেক্সে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বেহালার (Behala) তারা পার্কের বাসিন্দা গোপাল মিত্র। গতকাল রাত সাড়ে সাতটার সময় গোপালকে একজন ফোন করে জানান, তিনি ওই এসি মেশিনটি কিনতে চান। ঠিক হয় সাড়ে ৮ হাজার টাকায় এসিটি বিক্রি করা হবে।
ওই ব্যক্তি গোপালকে জানান, এখনই তিনি টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন এবং লোক পাঠিয়ে মেশিনটি নিয়ে আসবেন। সেই মোতাবেক তিনি গোপালকে বলেন ফোনে UPI ID পাঠাতে। গোপাল ইউপিআই আইডি পাঠিয়ে দেন এরপর আবার ফোন আসে গোপালের ফোনে। সেখান বলা হয় একটি এক টাকার কিউআর কোড যাবে এবং সেটিকে স্ক্যান করে পাঠাতে হবে সেই মোতাবেক গোপাল সেই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে পাঠিয়ে দেন।
দেখা যায়, গোপালের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এক টাকা ডেবিট হয়ে গেছে। সেটা জানানোর অপর প্রান্ত থেকে ফোন করে বলা হয় টাকাটা কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাবে। এরপর দেখা যায় এক টাকা ক্রেডিট হয়ে গেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। এরপর আবার একটি কিউআর কোড পাঠানো হয়। সাড়ে ৮ হাজার টাকার এবং সেটিকে স্ক্যান করে পাঠাতে বলা হয়। দেখা যায় গোপাল অ্যাকাউন্ট থেকে তারপরে সাড়ে আট হাজার টাকা ডেবিট হয়ে গেছে। এরপর ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয় কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই টাকাটা তাঁর অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাবে।
কিন্তু দেখা যায় সেই টাকা তো ক্রেডিট হয়নি। বরং চার খেপে ৫০ হাজার ৫৯৮ টাকা গোপালের অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট হয়ে গিয়েছে। এরপর আজকে গোপাল বেহালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে বেহালা থানার পুলিশ। গোপালের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে।
গোপালের পক্ষ থেকে দুই ব্যাঙ্কেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যিনি এসি মেশিন কিনবেন বলে ফোন করেছিলেন, কথোপকথনের সময় তার ভিডিয়ো কোলটি কিছুক্ষণের জন্য রেকর্ড করে রাখেন গোপাল। সেটি থানায় দেওয়া হয়। আর যেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, সেটি নাসির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির নামে। পুলিশ তাঁরও খোঁজ শুরু করেছে। আরও পড়ুন: ওষুধের স্ট্রিপ খুলতেই বেরিয়ে এল লাল থকথকে পদার্থ! দমদমের নিখিল দেখলেন, ‘ভিতরে তো আচার’