বড়বাজার, শোভাবাজার থেকে কাশীপুর, ভয়াবহ বিপদের মুখে ঘরবাড়ি-মন্দির-মসজিদ

Sayanta Bhattacharya | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 19, 2024 | 7:22 PM

Kolkata: কলকাতার গঙ্গার পাড়ে কয়েক লক্ষ মানুষের বসবাস। বড়বাজার, স্ট্র্যান্ড রোড, শোভাবাজার, কাশীপুরের মতো এলাকায় অনেক পুরোনো বাড়িঘর, মন্দির, মসজিদ এবং বড় বড় গুদাম রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে সে সবই নদীগর্ভে চলে যাবে।

বড়বাজার, শোভাবাজার থেকে কাশীপুর, ভয়াবহ বিপদের মুখে ঘরবাড়ি-মন্দির-মসজিদ
ফাইল ছবি
Image Credit source: Getty Image

Follow Us

কলকাতা: কথায় আছে, নদীর এক পাড় ভাঙে, আর অন্য পাড় গড়ে। এই প্রবাদবাক্য সত্যি হচ্ছে! কলকাতার গঙ্গার পাড়ে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের জন্য হয়তো আগামিদিনে অশেষ দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।

বছরের পর বছর নদীগর্ভে পলি জমতে জমতে হাওড়ার দিকে গঙ্গার তলদেশ ক্রমশ উঁচু হয়ে যাচ্ছে। ফলে জোয়ারের সময়ে গঙ্গার জলরাশি সোজা এসে ধাক্কা মারছে কলকাতার গঙ্গার পাড়ে। তার জেরে বাড়ছে ভাঙন। শনিবার রাতে নিমতলা ঘাটের একাংশ নদীতে তলিয়ে যায় সেই গঙ্গায়। তার ঠিক পাশেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিসৌধ। শুধু ‍নিমতলা ঘাট নয়, কলকাতার বিভিন্ন অংশে গঙ্গার পাড়ে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুরসভা।

কলকাতার গঙ্গার পাড়ে কয়েক লক্ষ মানুষের বসবাস। বড়বাজার, স্ট্র্যান্ড রোড, শোভাবাজার, কাশীপুরের মতো এলাকায় অনেক পুরোনো বাড়িঘর, মন্দির, মসজিদ এবং বড় বড় গুদাম রয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে সে সবই নদীগর্ভে চলে যাবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ব্যাখ্যা, ‘হাওড়ার দিকে নদীখাতে পলি জমায় স্রোতের গতিমুখ পাল্টে গিয়েছে। গঙ্গার স্রোত এসে ধাক্কা মারছে কলকাতার পাড়ে।’ তিনি বলেছেন, “এটা আমাদের কাছে খুবই চিন্তার বিষয়। যদিও এটা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে পড়ে। এটা দেখার জন্যে ওঁদের আলাদা বিভাগ রয়েছে। আমি ওঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। দরকার হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ করুক পোর্ট ট্রাস্ট।”

এই খবরটিও পড়ুন

কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমি এই রকম কিছু শুনিনি। এই ব্যাপারে মেয়রের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে আমাদের লিখিত ভাবে জানান। নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।’

কলকাতা বন্দরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, গঙ্গায় যে এলাকায় (সাগর থেকে খিদিরপুর) জাহাজ চলাচল করে শুধুমাত্র সেখানেই ড্রেজিং করা হয়। হাওড়ার দিকে পলি জমে কলকাতার দিকে ভাঙন বাড়ছে কি না, এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট পোর্ট ট্রাস্টের কাছে নেই।

Next Article