AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, চরম উত্তেজনা মুচিপাড়ায়

গোটা ঘটনার জেরে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান মুচিপাড়া থানা এলাকায়। সজল ঘোষের দাবি, তাঁকে বিনা অপরাধে আটক করেছে পুলিশ।

ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, চরম উত্তেজনা মুচিপাড়ায়
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2021 | 5:35 PM
Share

কলকাতা: তৃণমূল বনাম বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের আকার নিল মুচিপাড়া থানা এলাকা। ক্লাব ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে শুরু হওয়া মারপিট ক্রমশ বিরাট আকার নিয়েছে সজল ঘোষ নামক এক বিজেপি নেতা আটকের পর। শুক্রবার বিকেলে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় দরজা ভেঙে সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার জেরে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান মুচিপাড়া থানা এলাকায়। সজল ঘোষের দাবি, তাঁকে বিনা অপরাধে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুচিপাড়া থানার বিপরীতে থাকা বিজেপির একটি ক্লাবে এই সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপির দাবি, গতকাল রাতে বিনা প্ররোচনায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক ওই ক্লাবে ঢুকে নির্বিচারে মারধর করে। কোনও কারণ ছাড়াই হামলা চালানো হয়। জিনিসপত্রও ভাঙচুর করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামাতে হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, বিজেপিই প্রথম চড়াও হয়েছিল।

এই পরিস্থিতির মাঝেই সজল ঘোষ নামক এক স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার বিকেলে মুচিপাড়ার থানার পুলিশ ওসির নেতৃত্বে সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু পুলিশ দরজা খুলতে বললে সজল বেঁকে বসেন। ঘরের ভেতরে থাকলেও দরজা আটকে রাখেন সজল। তারপরই দরজা ভাঙতে উদ্যত হয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ। সেই মতো লাথি বৃষ্টি চালিয়ে সজল ঘোষের বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সজলবাবুর দাবি, বিনা অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

পুরো ঘটনাটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “দরজা ভাঙার জন্যও তো আদালতের অনুমতি দরকার। যারা সাদা পোশাকে দরজা ভাঙল তারা কারা? পুলিশ নাকি তৃণমূলের গুণ্ডা। এখানে যে আইনের শাসন নেই সেটা তো মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসনও সেই প্রমাণই দিচ্ছে। এরকম তো বামেদের আমলেও হয়নি।” আরও পড়ুন: ‘বিজেপির টিকিটেই দাঁড়ালে বিপুল ভোটে ফের জিতব কৃষ্ণনগরে’, সহাস্য মুখে নয়া ইঙ্গিত মুকুলের