Kasba Case: ৭২ ঘণ্টার ব্যবধান! খাঁ-খাঁ করা কলেজ ঢেকেছে নিরাপত্তায়, পুলিশের সঙ্গে এলেন নির্যাতিতা
Kasba Case: প্রথমে আরজি কর। তারপর সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। দু'টি ঘটনার মধ্যে একাধিক পার্থক্য থাকলেও, দিনশেষে এই দুই ঘটনাকে মিলিয়ে দেয় একটাই কথা তা হল 'ধর্ষণ'। যা কোনও সভ্য সমাজের পরিচয় নয়।

কলকাতা: তফাৎ সময়ের। তফাৎ নিরাপত্তার। শেষবার যখন নিজের কলেজে পা দিয়েছিলেন সেই নির্যাতিতা, তখন ছিল না কোনও পুলিশ, এত ভিড়। কোথাও গিয়ে যার সুযোগ নিয়েছিল ধৃত তৃণমূল নেতা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। শনিবার যখন সে আবার সেই কলেজে পা রাখেন। তখন আলোয় ঢেকেছে চারপাশ। পুলিশ ঠাসা গোটা কলেজ। কারণ, গোটা শহর তথা রাজ্যের নজর এখন সেই দিকে।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতা নামজাদা আইন কলেজে এমন গণধর্ষণের নাড়া দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী নিরাপত্তা। প্রথমে আরজি কর। তারপর সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। দু’টি ঘটনার মধ্যে একাধিক পার্থক্য থাকলেও, দিনশেষে এই দুই ঘটনাকে মিলিয়ে দেয় একটাই কথা তা হল ‘ধর্ষণ’। যা কোনও সভ্য সমাজের পরিচয় নয়।
এদিন প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশি নিরাপত্তার মাঝে ঘটনাস্থলে গেলে নির্যাতিতা। শনিবার সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেখানে তাঁকে নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশ। এরপর দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ঘটনার পুনর্নিমাণ। নির্যাতিতার কাছ থেকে কোথায়, কী ঘটেছিল সবটা জানতে চায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার কলেজে প্রবেশ থেকে গোটা ব্যাপারটা ভিডিয়োগ্রাফি করেছেন তদন্তকারীরা। কখন, কোথায় ছিলেন তিনি, কী কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে, প্রতিটা বিষয় সেই ভিডিয়োগ্রাফি মাধ্যমে রেকর্ড করেছে পুলিশ। এদিন দুপুরে আলিপুর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেখানেই আবার তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় চলেছে কলেজে ঘটনা পুননির্মাণের কাজ।

