Pollution in Kolkata: একে ‘দূষণ’ তায় আবার ধুনোর গন্ধ! ভয়ঙ্কর অবস্থা কলকাতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 06, 2023 | 2:25 PM

Pollution in Kolkata: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দূষণের নিরিখে শীর্ষ তালিকায় থাকা কলকাতার সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। শহরের বাতাসে বিরাট মাত্রায় রয়েছে ক্ষতিকারক গ্যাস। শিশুদের ফুসফুসের সমস্যার অন্যতম কারণ এই দূষণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Pollution in Kolkata: একে দূষণ তায় আবার ধুনোর গন্ধ! ভয়ঙ্কর অবস্থা কলকাতার
কলকাতায় বাড়ছে দূষণ
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: দিল্লির দূষণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে, বেড়েছে তৎপরতাও। ভারী বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। কলকাতা শহরে বসে যাঁরা দিল্লির দূষণের খবরে নজর রাখছেন, তাঁরা ভুলে যাবেন না তিলোত্তমাও ডুবছে বিষাক্ত বাতাসে। গতকাল, রবিবার বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা। কালি পুজোর আগে সেই মাত্রা বাড়তে পারে আরও, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তবে রাস্তার কালো ধোঁয়া নয়, ঘরের ভিতরের পরিবেশ নিয়েই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে তো মাস্ক পরে বেরতে পারেন, কিন্তু বাড়িতে?

সামনে দীপাবলি তথা কালি পুজো। সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে প্রতিবারের মতো এবারও প্রচুর বাজি পুড়বে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, দিল্লির দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ যে নাড়া পোড়ানো, তার বাড়বাড়ন্ত রয়েছে এই রাজ্যেও। ভুলে গেলে চলবে না বাংলা কৃষিপ্রধান রাজ্য। এখানেও একাধিক জেলায় চলছে চাষের জমি থেকে উঠছে ধোঁয়া। বাঁকুড়ার রাধামোহনপুর এলাকায় বিঘের পর বিঘে জমিতে চলছে নাড়া পোড়ানো। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা আলু চাষের গড়। শীতের শুরুতে সেখানে চাষের প্রস্ততি চলছে। তার আগে পাকা ধান কাটা হচ্ছে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে। ফলে পড়ে থাকছে গোড়া। তাতেই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। কাজে আসছে না কোনও সতর্কবার্তা। বাড়ছে দূষণ। ক্ষতি হচ্ছে মাটির। কৃষি দফতরের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

পরিবেশবিদ নয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ফসলের পড়ে থাকা অংশ বা খড়টা মাটিতে মিশে গেলে নাইট্রোজন ও সালফারের পরিমাণ বেড়ে যায় জমিতে। সেটা পুড়িয়ে দেওয়া হলে মাটির উর্বরতা বাড়ে না। অর্থাৎ আদতে মাটির ক্ষতিই হচ্ছে। অথচ সেই সচেতনতা নেই অনেকের মধ্যেই!

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দূষণের নিরিখে শীর্ষ তালিকায় থাকা কলকাতার সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। শহরের বাতাসে বিরাট মাত্রায় রয়েছে ক্ষতিকারক গ্যাস। সেই সঙ্গে ধূপ-ধুনো-মশার কয়েলের মতো বাড়িতে ব্যবহৃত জিনিসেই বাড়ছে ভয়। শিশুদের ফুসফুসের সমস্যার অন্যতম কারণ এই দূষণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে অ্য়ালার্জি, ত্বকের সমস্যা, ক্যানসারের মতো রোগের আশঙ্কা। শিশু ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “আউটডোরের থেকে ইন্ডোর অর্থাৎ বাড়ির ভিতরের দূষণ কমানোটা খুব জরুরি। এটাই ফুসফুসের সমস্যার সবথেকে বড় কারণ হয়ে উঠছে।”

Next Article