AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal Ghosh attacks Sujan: ‘সুজনের শ্বশুরের জেলায় সারদার জন্ম’! বিস্ফোরক কুণাল

Kunal Ghosh attacks Sujan: বৃহস্পতিবারই সারদার অন্যতম মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কুণাল ঘোষ। এরপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Kunal Ghosh attacks Sujan: 'সুজনের শ্বশুরের জেলায় সারদার জন্ম'! বিস্ফোরক কুণাল
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজনকে জবাব কুণালের
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 1:06 PM
Share

কলকাতা : ২০১৩ সালে সারদা চিটফান্ড মামলায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। প্রথমে সংস্থার কর্তারা ধরা পড়লেও, পরে অনেক রাঘব-বোয়ালের নামই সামনে আসে। এবার এত বছর পর বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল। সারদা-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ ওই মামলায় জেলও খেটেছেন। এবার তিনি দাবি করলেন,  সুজন ও তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের যখন দাপট ছিল, তখনই তাঁদের জেলায় জন্ম এই সারদার।

সারদার যে মামলায় ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে, বৃহস্পতিবার সেই মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুধু কুণাল নন, ওই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন সারদা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ও। বর্তমানে শাসক দলের মুখপাত্র হওয়ায় মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে কটাক্ষ করেছে বাম নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেছেন, শাসক দলের নেতা বলে স্বাভাবিক নিয়মেই কুণালের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর এই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজনকে জবাব দিতে গিয়ে সুজন চক্রবর্তী তথা আর এক বাম নেতা শান্তিময় ভট্টাচার্যের কথা উল্লেখ করেছেন। একসময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক ছিলেন শান্তিময় ভট্টাচার্য। তিনিই সম্পর্কে সুজনের শ্বশুর। কুণালের দাবি, শান্তিময় ও সুজন দুজনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতা। আর তাঁদের জমানাতেই সারদার নাকি বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়।

সোশ্য়াল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘আপনার জেলা, আপনার শ্বশুরমশাইয়ের জেলায় সারদার জন্ম। সুদীপ্ত সেনের আদালতকে দেওয়া বয়ানে আপনাদের পার্টির নামও আছে। আপনি আজ বড় বড় কথা বলছেন? মিথ্যাচার করছেন?’ শুধু তাই নয়, কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আপনাদের জমানায়, শ্বশুর জামাইয়ের দাপটযুগে, আপনার জেলায় সারদা ডালপালা ছড়াল কী করে?’

এই প্রসঙ্গে, বউবাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি, সেই ঘটনায় ছিল সিপিএম নেতাদের যোগ। ছয় নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তই করে নি বলে উল্লেখ করেছেন কুণাল।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হতে না পারায় অবসাদগ্রস্ত বলে সুজনকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি, সুজনকে সরাসরি জবাব দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ কোনও মামলা তুলে নেয়নি। আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করে রেহাই পেয়েছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে, কুণালকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। শোনা যাচ্ছে, ঘনিষ্ঠ মহলে সুজন বলেছেন, কুণালকে নিয়ে তেমন কিছু বলাই হয়নি। তাতেও এত রাগ!