TMC: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের জের, অটো কাণ্ডে উল্টোডাঙার আবাসনে গিয়ে ‘ক্ষমা’ চাইলেন কুণালরা
TMC: এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুকে তিরস্কারও করেন। কেন এই ঘটনা ঘটলো, কে সাহস দিয়েছে ওই অটোগুলিকে ওই আবাসনে ঢোকার? প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের জের। উল্টোডাঙার আবাসনে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এলেন কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, বিধায়ক পরেশ পাল সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। ভোটের ফল প্রকাশের পর উল্টোডাঙা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনে অটো দৌরাত্ম্যের অভিযোগ ওঠে। সার বেঁধে অটো ঢুকে যায় বলে অভিযোগ। সামনে আসে একটি ভিডিয়ো। যদিও যার সত্যতা যাচাই করেবি টিভি-৯ বাংলা। ভিডিয়োতে দেখা যায় একটি আবসনের ভিতর প্রচুর অটো ঢুকে গিয়েছে। অটোগুলির গায়ে উড়ছিল তৃণমূলের পতাকা। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপানউতোর। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “আবাসনের ভিতরে অটো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ আবাসনের বাসিন্দারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।” এদিকে এরইমধ্যে এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুকে তিরস্কারও করেন। কেন এই ঘটনা ঘটল, কে সাহস দিয়েছে ওই অটোগুলিকে ওই আবাসনে ঢোকার? প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার এরইমধ্যে কাউন্সিলরকে নিয়ে সোজা ওই আবাসনে ছুটলেন কুণাল।
কথাও বললেন আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে। ক্ষমাও চেয়ে নেন তৃণমূল নেতারা। আগামীদিনে এ ঘটনার কোনও পুরনাবৃত্তি হবে না বলেও মিলেছে আশ্বাস। সেই ভিডিয়োও সামনে এসেছে। আবাসনের বাসিন্দাদের সামনেই কুণালকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর এটা কানে গিয়েছে। কোনও অংশ থেকে খবর এটা এসেছে। আবাসিকদের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে, কেউ বিরক্ত হয়ে থাকতে পারেন। এত বড় আবাসন, হয়তো কেউ কেউ দুঃখ পেয়েছেন। যাঁরা বিরক্ত হয়েছেন আমরা তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে নজর রাখব যাতে একজন মানুষও বিরক্ত না হয়।”
যদিও এদিন আবার একাধিকবার অটো ‘দৌরাত্ম্য’ নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোনও অভিযোগ করতেই নারাজ। একজন তো কুণালকে স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “আপনাকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন তেমন ওনাকে জানাবেন আমাদের আবাসনের তরফ থেকে কোনও অবজেকশন নেই।” এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, “এখানকার বাসিন্দারা বলছেন আমরা কোনও অভিযোগ করছি না। আমরা পুরপিতাকেও কাজের সময় হাতের কাছে পাই। আমরা শুনে খুব আনন্দিত হয়েছি। তারপরেও এত বড় আবাসনে কোনও ঘটনায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে বলব এ ধরনের কোন কাজ দল অনুমোদন করেনি। অনেক ক্ষেত্রে মিছিলে অতি উৎসাহে কোনও কর্মী কিছু করে ফেলতে পারে। সেটা অনিচ্ছাকৃত।”