কলকাতা: ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। নির্বাচন হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। প্রথম থেকে বাংলার প্রতিটি বুথেই অর্থাৎ মোট ৮০ হাজার ৫৩০ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক রাজীব কুমার। বাংলায় প্রথমেই ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। প্রথম দফায় কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহারে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়ন করছে কমিশন। ১১২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে কোচবিহারে। আলিপুরদুয়ার ৬৩ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি, শিলিগুড়িতে ১৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে।
প্রথম দফায় এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, রাজ্যের একশো শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর হিসাবে গণ্য করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে কমিশন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনই লক্ষ্য। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৯২০ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে কমিশন। বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে প্রয়োজন বুঝে। প্রথম দফায় বেশি পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যা মেটাতে ভিন্ রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ এনে কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসাবে গণ্য করা হত। যদিও বাহিনীর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
এরপর দফা যত এগোবে, সমস্যা কমবে। কারণ ভোট এগোতে থাকলে, বাহিনীও মোতায়েন করা সহজ হতে থাকবে। প্রথম দফাতে কোচবিহারে সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারেই ফলিমারিতে বুথের মধ্যে ঢুকে বিজেপি এজেন্টকে বোমা ছুড়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই কোচবিহারেই আবার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র। গত একুশের নির্বাচনে সেখানেও রক্ত ঝরে। কোচবিহারে রয়েছে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে গণ্য করছে নির্বাচন কমিশন।