কলকাতা: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ঘিরে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল। দীর্ঘদিন ধরে পুজো হয়ে আসছে প্রেসিডেন্সির হিন্দু হোস্টেলে। এবারও সেই পুজো চলছে হিন্দু হোস্টেলের ভিতরে। তবে এবার আরও একটি পুজো হচ্ছে প্রেসিডেন্সির গেটের বাইরে। সেই পুজো করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসের ভিতরে পুজো করতে চেয়ে আবেদন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। ফলে প্রেসিডেন্সির গেটের বাইরেই পুজো করছে তৃণমূল। এদিন সেই পুজোয় পৌছে যান মদন মিত্র। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সেই পুজোয় এসেছিলেন গৌতম দেবও। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রতীকী অঞ্জলি ও হাতেখড়িতেও হাজির ছিলেন মদন মিত্র।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বললেন, “ছাত্রছাত্রীরা মনে করলে এক মিনিটে জোর করে ভিতরে ঢুকে পুজো করতে পারে। কিন্তু আমরা জোর করতে চাই না। কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তা চেয়ে প্রতীকী হাতেখড়ি। আমরা বিদ্যাসাগরকে অপবিত্র করছি। প্রজাতন্ত্র দিবসে যখন চারদিকে দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে, তখন কাপুরুষের মতো দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।” প্রতীকী অঞ্জলি ও হাতে খড়ির পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ গেটের সামনেই বসে পড়েন মদন মিত্র, তৃণাঙ্কুররা। এদিন প্রেসিডেন্সির বাইরে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গেলেন, পরের বছর ক্যাম্পাসের ভিতরেই পুজো হবে।
যদিও মদন মিত্রর এদিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা দিয়েছেন এসএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন দে। তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্র আন্দোলনের যে ভূমিকা, সেই প্রসঙ্গে ওনার জানা-বোঝা কম। যাই হোক, আজ হাতে-খড়ি হয়েছে। আগামী দিনে অ,আ,ক,খ শিখবেন। আস্তে আস্তে জানা-বোঝা বাড়বে বলে আশা করা যায়।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “প্রেসিডেন্সির ভিতরে যে পরিবেশ মদন মিত্রর বাহিনী তৈরি করার চেষ্টা করছে, তারা সেই উদ্দেশ্যে সফল হতে পারবে না।”