কলকাতা : কয়লা-কাণ্ডে এবারও হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এই নিয়ে পরপর চারবার তলব করা হল তাঁকে। একবারও ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। শুধু মলয় ঘটক নন, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও এ দিন তলব করা হয়েছিলে। তিনিও হাজিরা দেননি। শুক্রবার বেলা ১১টার মধ্যে দিল্লির ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁদের। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও হাজিরা দেননি তাঁরা।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা যায়, এবারই শেষ নোটিস দেওয়া হয়েছিল মলয় ঘটককে। এবার হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। শুক্রবার তিনি না যাওয়ায়, ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৭ ফেব্রুয়ারিও মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছিল। তার আগে ২ ফেব্রুয়ারিও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। কিন্তু বারবারই কোভিডের কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এবার ইডি-র র্যাডারে চলে আসেন বাঘমুণ্ডির বিধায়ক। একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নাম হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে এ ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সুশান্তকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মিটিং-এর জন্য কলকাতাতেই আছেন। এরকম কোনও নোটিস তিনি পাননি। তবে মলয় ঘটক কোন কারণে গেলেন না, তা বোঝা যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই এই মামলায় কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসিএলের প্রাক্তন ও বর্তমান মোট আট কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, কয়লা কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার কাছ থেকে নিয়মিত মোটা টাকা পেতেন এই ইসিএল কর্তারা। সেই টাকায় গাড়ি, বাড়ি, গয়নাও করে ফেলেছেন তাঁরা। এ ছাড়া, এই মামলায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।