Mamata Banerjee: ‘বাঙালিদের বাংলাদেশি বলছে…’, পুশব্যাক নিয়ে বড় অভিযোগ মমতার
Mamata Banerjee: অসমের মুখ্যমন্ত্রীর তুলে ধরা পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিককালে মোট ৩৩০জন অবৈধ অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে তাদের সরকার। শুধুই অসম নয়। তাদের এই উদ্যোগের পর থেকে পুশব্যাক অভিযান শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। যার মধ্যে একটি আবার মহারাষ্ট্র।

কলকাতা: একদিকে বিএসএফ। অন্যদিকে পুলিশ। দিন শেষে জোর কার? অন্দরে অন্দরে যেন সেই রাজনীতিটাই চলছে, মত ওয়াকিবহাল মহলের। গোটা দেশজুড়ে বাঙালি দেখলেই চলছে পুশব্যাক, পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে।
সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘বাংলায় কথা বললেই পুশব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। দেশের সমস্ত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যেই চলছে এই কাজ। এমনকি, পরিচয়পত্র দেখালেও বাঙালিদের বাংলাদেশি বলছে ওরা।’
কোথা থেকে শুরু হল পুশব্যাক রাজনীতি?
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর তুলে ধরা পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিককালে মোট ৩৩০জন অবৈধ অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে তাদের সরকার। শুধুই অসম নয়। তাদের এই উদ্যোগের পর থেকে পুশব্যাক অভিযান শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। যার মধ্যে একটি আবার মহারাষ্ট্র।
সম্প্রতি সেখানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যাওয়া মুর্শিদাবাদের দুই ও বর্ধমানের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তারপর তারা বাংলাদেশি সন্দেহে তাদের তুলে দেয় বিএসএফ-এর হাতে। এরপর তাঁদের কোচবিহার জেলায় এনে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এবার সেই তিন রাজ্য়ের নাগরিককে উদ্ধার করে কোচবিহার পুলিশ। তাদের তৎপরতায় বাংলাদেশে পুরোপুরি ভাবে চালান হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে তারা। কোচবিহার পুলিশ এই তিন জনের পরিবারের থেকে যথাযথ পরিচয়পত্র জোগার করে। তারপর বিএসএফ-এর কাছে যায় আবেদন। পুলিশের চাপের মুখে সীমান্তে ফ্ল্যাগ মিটিং ডাকে বিএসএফ। সেখানেই আবার ফিরিয়ে আনা হয় বাংলার তিন পরিযায়ী শ্রমিককে।
এই তৎপরতা কোথাও গিয়ে ঘুরপথে কেন্দ্র হুঁশিয়ারি ও সমঝে চলার বার্তা বহন করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনকি, সেই বার্তা সোমে বিধানসভা থেকে দিয়েছেন মমতা। এই পুশব্যাক প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভারতবর্ষের মধ্যে কোথাও বাংলা ভাষায় কথা বললেই, বলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি। বাংলা ভাষায় তো বাঙালি কথা বলবেই। তারা তো ভারতীয়। সব নথি, তথ্য রয়েছে। কিন্তু, বাংলা ভাষায় কথা বললেই হেনস্থা হতে হচ্ছে।’

