Kaikhali Fire: ধেয়ে আসছে কালো ধোঁয়া, একের পর এক রাসায়নিক ভর্তি ড্রামে বিস্ফোরণ! বছরের প্রথম দিনই ভয়াবহ আগুন শহরে

Fire: বেলা ১২টা অবধি দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর সবরকম চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

Kaikhali Fire: ধেয়ে আসছে কালো ধোঁয়া, একের পর এক রাসায়নিক ভর্তি ড্রামে বিস্ফোরণ! বছরের প্রথম দিনই ভয়াবহ আগুন শহরে
কৈখালিতে আগুন। জ্বলছে কারখানা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2022 | 12:53 PM

কলকাতা: বছরের প্রথম দিনই অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সকালে কৈখালির একটি রঙের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এরপর আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। পরে যায় এনডিআরএফের সদস্যরাও।

যেহেতু রঙের কারখানা, তাই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন পাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়দের দাবি। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

বেলা ১২টা অবধি দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর সবরকম চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যেহেতু কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি পরিস্থিতি বাগে আনা কিছুটা কঠিন হচ্ছে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। পাশেই রয়েছে বাচ্চাদের পোশাক তৈরির কারখানা। আগুনের লেলিহান শিখা সেই কারখানাকেও গ্রাস করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেখানে বেশ কিছু দাহ্যবস্তু বোঝাই ড্রাম ছিল। আগুন লাগার পর বীভৎস শব্দে সেগুলি ফাটতে শুরু করে। এর জেরে দমকল কর্মীদের কাজ করতেই সাময়িক বেগ পেতে হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে যেখানে আগুন লেগেছে, সেই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। জায়গা খুবই সঙ্কীর্ণ। এর ফলে দমকলের ফায়ার টেন্ডারগুলি ঢুকতেও সমস্যার মুখে পড়ে। অন্যদিকে অতিরিক্ত রাসায়নিক মজুত থাকার কারণে আগুন আরও বীভৎস রূপ নেয়। প্রশ্ন উঠছে, এই কারখানাগুলির বৈধতা নিয়েও। কীভাবে এরকম ঘিঞ্জি জায়গায় কারখানাগুলি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। অদিতি মুন্সী বলেন, “অনেকটাই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। কী থেকে আগুন লাগল তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত এটা একটা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি। পাশে গেঞ্জির কারখানা। যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে তার চেষ্টা করব। এটা বসতি এলাকা। বহু বাড়ি রয়েছে আশেপাশে। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য যে যে ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমরা তা করব।”

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “এটা একটা কোম্পানি পাড়া। এখানে ছোট ছোট কোম্পানি আছে। গেঞ্জির কারখানা, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি রয়েছে। এর আগেও এই এলাকায় আগুন লাগে। এখানে লুকিয়ে কেমিক্যাল লোড করে। বৈধভাবে কাজ করে না। সে কারণেই বিপদে কোম্পানির মালিকরা পালিয়ে যায়।”

আরও পড়ুন: Crime: এমন কী ঘটল কলতলায়? পাশের বাড়ির ছেলের শাবলের কোপে প্রাণ গেল তরুণীর!

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On COVID: ‘মানুষকেই সচেতন হতে হবে, সরকারের পক্ষে সবটা সম্ভব নয়’, বছরের প্রথম দিন কোভিড সচেতনতায় দিলীপ