Humayun Kabir: ‘বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ হবে, আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে’
Humayun Kabir: বেলডাঙায় প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই মুসলিম। এই বেলডাঙাতেই রয়েছে রাজ্যের সবথেকে পুরনো মাদ্রাসা, যার বয়স প্রায় ১১১ বছর। তাই এই জায়গাকেই তিনি বেছে নিচ্ছেন বাবরি মসজিদ বানানোর জন্য।
কলকাতা: বেলডাঙায় তৈরি হবে বাবরি মসজিদ। জলসার মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে সেই ঘোষণার ব্যাখ্যা দিলেন বিধায়ক। কোনও রাজনৈতিক নেতা বা বিধায়ক নয়, এক ইসলাম ধর্মাবলম্বী হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। একটি ট্রাস্ট তৈরি করে তার মাধ্যমেই মসজিদ তৈরি করবেন তিনি। সেই ট্রাস্টে থাকবেন বিভিন্ন মাদ্রাসার কর্তারা।
হঠাৎ কেন এমন একটি সিদ্ধান্ত? হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের আবেগে সাড়া দিয়ে আমি এই ঘোষণা করেছি। বাংলায় ৩৫ শতাংশ নাগরিক মুসলিম, মুর্শিদাবাদের ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। তাদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে এই মসজিদ তৈরি করা হবে।”
বিধায়ক জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। আর মসজিদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত। অযোধ্যায় যে বাবরি মসজিদ ছিল, তার থেকেও বড় মসজিদ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন।
এই খবরটিও পড়ুন
তিনি উল্লেখ করেছেন, বেলডাঙায় প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই মুসলিম। এই বেলডাঙাতেই রয়েছে রাজ্যের সবথেকে পুরনো মাদ্রাসা, যার বয়স প্রায় ১১১ বছর। তাই এই জায়গাকেই তিনি বেছে নিচ্ছেন বাবরি মসজিদ বানানোর জন্য।
বিধায়ক আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি আমন্ত্রণ জানবেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, “মসজিদ বানাব। তাতে শৃঙ্খলার কোনও ব্যাপার নেই। আমার ধর্ম আমি করতেই পারি। আর মুখ্যমন্ত্রীও খুশি হবেন। তাঁকে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাকব। ট্রাস্টিকে অনুরোধ করব তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।” তবে হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট করেছেন যে তিনি কোনও বিধায়ক হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।