RG Kar Protest: ‘আন্দোলনই আমাদের উৎসব’, স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের মধ্যেই গর্জে উঠলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা

RG Kar Protest: প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, “দেশের মানুষ যদি ভাবেন উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন। তাঁরা তো আমার মেয়েটাকে নিজের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। তাঁরা যদি ফিরতে পারেন তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।” তারপর থেকেই চলছে বিতর্ক।

RG Kar Protest: ‘আন্দোলনই আমাদের উৎসব’, স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের মধ্যেই গর্জে উঠলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা
গর্জে উঠলেন জুনিয়র ডাক্তাররা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 10, 2024 | 5:29 PM

কলকাতা: আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা। এসেছে সুপ্রিম নির্দেশ। কিন্তু, এখনও তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে রাস্তা আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে অবরুদ্ধ হয়েছে করুণাময়ী।  এদিকে এরইমধ্যে আবার একদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক থেকে আবার উৎসবে ফেরার কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে রাজ্যজুড়ে। আন্দোলনকারী থেকে নাগরকি মহল, সর্বত্র উঠেছে বিতর্কের ঢেউ। এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান থেকে মমতার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে উঠল লাগাতার স্লোগান। ‘কাঁদছে আমার বোনের শব, চাই না এমন নোংরা উৎসব’, এই লাইনে চলল গান। 

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, “১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।” তা নিয়েই চলছে বিতর্ক। এদিন প্রতিবাদ মুখর রাস্তায় দাঁড়িয়েই এক আন্দোলনকারী বললেন, “৩২ দিন হয়ে গিয়েছে। আজও বিচার পাওয়া যায়নি। আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না। শুধু কোনওভাবে আমাদের ডিউটি প্রবেশ করিয়ে হাত তুলে নিতে চাইছে। উৎসব করতে বলছে। কিন্তু ওটা দিয়ে হবে না। এখন গোটা বাংলা, দেশ, গোটা বিশ্ব জেগে উঠেছে। সেই আগুন নেভানো যাবে না। উৎসবে যাঁরা ফিরতে চায় ফিরুক। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই মনোভাব কারও রয়েছে বলে মনে হয় না।” 

পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিলোত্তমার মা-ও। তিনি বলছেন, “দেশের মানুষ যদি ভাবেন উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন। তাঁরা তো আমার মেয়েটাকে নিজের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। তাঁরা যদি ফিরতে পারেন তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।”

প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর থেকে সল্টলেকের উইপ্রো মোড় থেকে স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার দু’টি লেন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে দেখা গেল প্রতীকী ‘মস্তিষ্ক’, চোখও। আন্দোলনকারীদের দাবি, স্বাস্থ্য ভবনের মাথা-চোখ বিকলের প্রয়োজন রয়েছে। তাই দরকার নতুন ‘অপারেশনের’। এক আন্দোলনকারী বলছেন, “আমরা যখন লালবাজার অভিযান করেছিলাম তখনও স্বাস্থ্য ভবন চোখ ঢেকেই ছিল। আজ এতদিন হয়ে গেলেও আমারা বিচার পাইনি। মাননীয়ও হয়তো চোখ ঢেকে নিয়েছেন। সে কারণেই বলছেন যাও তোমরা উৎসবে ফেরো।” এরপরই উৎসব প্রসঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়ে বলেন, “আমাদের উৎসব একটাই। আমাদের উৎসব রাস্তায় রঙ তুলি দিয়ে আঁকা, প্ল্যাকার্ড তৈরি। মানুষকে বোঝাতে চাই আমরা এখনও বিচারের জন্য আওয়াজ তুলছি। যতক্ষণ না আমরা স্বাস্থ্য ভবনের চোখ খুলতে পারছি আমাদের আন্দোলন চলবে।”

ফুঁসছেন এনআরএস মেডিকেল কলেজের রেসিডেন্টস ডক্টর অ্যাশোসিয়শনের প্রেসিডেন্ট পুলস্তও। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনিও। বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট আমাদের ৫টার মধ্যে কাজে ফিরতে বলেছে। সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিরাপত্তা পেলেই তবেই যেন আমরা কাজে জয়েন করি। পরবর্তীতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৫টার নির্দেশ অমান্যে অ্য়াকশনের কথাকে ভ্যালিডেট করেছিলেন। আমরা জানতে চাই কী অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছি।”