Behala Murder: খুন করে বোনের গয়না নিয়ে চম্পট, বন্দক দিয়ে টাকাও তোলে আততায়ীরা
Susmita Murder Case: বেহালায় জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিশ। ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বাইক, মোবাইলের।
কলকাতা: বেহালা খুনের (Behala Murder) ক্রমশ সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি মাসের শুরুর দিকে খুন হল বেহালার বাসিন্দা সুস্মিতা ও তাঁর ছেলে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তালিকায় সুস্মিতার (Susmita) স্বামীর নাম থাকলেও পরে তদন্তে জানা যায় আততায়ী (Murderer) আসলে সুস্মিতার দুই দাদা। তাদের গ্রেফতার করে জেরা করার পরই একের পর এক চমকে যাওয়ার মতো তথ্য সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্ত খুন করার পর সুস্মিতার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই গয়না গোল্ড লোন (Gold Loan) সংস্থাতেও জমা দেয় তারা। সেখানে গয়না বন্দক দিয়ে তারা ৩০ হাজার টাকা নেয়। জেরায় গয়না বন্দক দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।
জেরায় জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের ঘটনায় দুই আততায়ী খুনের পর সুস্মিতার প্রায় দেড় ভরি গয়না চুরি করে নেয়। শুধু গয়নাই নয়, গয়নার কাগজপত্রও লুঠ করে নিয়ে যায় তারা। এরপর ‘মনপ্পুরম গোল্ড লোন’ সংস্থায় সেই গয়না জমা দেয়। দেড় ভরি গয়না জমা দিয়ে ৩০ হাজার টাকা পায় তারা। সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তদের বাইক, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বেহালা পর্ণশ্রীর (Parnashree) সেনপল্লির এক আবাসন থেকে মা ও ছেলের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ঘটনার দিন দুপুরে সুস্মিতাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর দুই মাসতুতো ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাস। তাদের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ। ঘটনার দিন বেলা ১২টা নাগাদ বোনের বাড়িতে যান তাঁরা। বোনের সঙ্গে নানা বিষয়ে গল্পও করেন। এরপরই বোন দুই দাদাকে চা ও কেক খেতে দেন। মা ও ছেলেকে খুনের পর যে ব্যাগে করে ধারাল ছুরিটি আততায়ীরা নিয়ে যায়, সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে, তা এখনও উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহত সুস্মিতা মণ্ডলের ছেলে নিহত তমোজিৎ মণ্ডল অনলাইন ক্লাস করছিল, সেই মোবাইলটিও উদ্ধার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: TET মামলা: স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য! আপাতত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার দিতে হচ্ছে না বোর্ড প্রেসিডেন্টকে
যে বাইকে চেপে দুই ভাই সুস্মিতার বাড়িতে এসেছিলেন, সেই বাইক ও হেলমেটও ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে কোনও রক্তের দাগ বা অন্য কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছিল, তা এখনও উদ্ধার না হলেও সেই ধারাল অস্ত্র যে ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই ব্যাগটি পাওয়া গিয়েছে। তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যান থেকে নেমে ঘাড় ঘুরিয়ে চট করে দেখে নিল চারপাশ, তারপরই বিজেপির কর্মীর বাড়ির সামনে এই কাণ্ড!