AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TET মামলা: স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য! আপাতত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার দিতে হচ্ছে না বোর্ড প্রেসিডেন্টকে

TET Case in Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রে ছ’টি ভুল প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্নপত্র নিয়ে আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার অভিযোগ ওঠে পর্ষদের বিরুদ্ধে।

TET মামলা: স্বস্তিতে মানিক ভট্টাচার্য! আপাতত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার দিতে হচ্ছে না বোর্ড প্রেসিডেন্টকে
হাইকোর্টে স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির।
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 1:23 PM
Share

কলকাতা: প্রাথমিক টেট মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা (Primary Education) পর্ষদের প্রেসিডেন্ট মানিক ভট্টচার্যকে (Manik Bhattacharya)। আপাতত তাঁকে জরিমানা দিতে হচ্ছে না। পর্ষদের ভুলে চাকরি হয়নি বলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা দেওয়ার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। আজ সেই মামলার শুনানিতে জরিমানা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পর্ষদের ভুলে যাঁরা চাকরি পাননি তাঁদের প্রত্যেককে নিজের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে।

মানিক ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করেছিলেন, তারই শুনানি ছিল আজ। আজ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, আদালতের শুনানিতে দেরি হলে বোর্ড প্রেসিডেন্ট কেন টাকা দেবেন? আপাতত তাই জরিমানা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, মানিক ভট্টাচার্য জরিমানা দেবেন কি না।

আরও পড়ুন: ‘চিনা শত্রু’র দাপট কলকাতার আকাশে! মরণফাঁদ ঠেকাতে ২০ লক্ষ টাকার ‘ঢাল’

গত ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, টেট-এর ভিত্তিতে ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই ১৯ জন চাকরি প্রার্থী এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান। তাঁদের দাবি ছিল, ২০১৪ সালের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। তা সত্ত্বেও যারা সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের পুরো নম্বর দিতে হবে। আদালত ওই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিল, যারা ওই ছয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছে তাদের যেন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন সেই নম্বর দেওয়া হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হল না কেন? তাই এটা আদালত অবমাননার শামিল বলে মনে করে আদালত। একই সঙ্গে এই ঘটনা মামলাকারীদের হেনস্তা করার সমান বলেও মনে করেন বিচারপতি। এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় মামলাকারীদের হেনস্তা ও আদালত অবমাননার কারণে জরিমানা দিতে হবে। আর সেই জরিমানা স্বয়ং বোর্ড সভাপতিকে দিতে বলা হয়। প্রত্যেক মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই টাকা নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে তাঁকে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, সাতদিনের মধ্যে টেট পাশ করাতে হবে, যদি তাঁরা ছয় নম্বর দিয়ে পাশ করেন। ইন্টারভিউ নিতে হবে। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক পিটিশনারকে দিতে হবে। মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গন’, বিশ্বভারতী মামলায় কঠোর পর্যবেক্ষণ আদালতের