কলকাতা: আবার সে এসেছে ফিরিয়া। করোনার কল্যাণে রোজ একটু একটু করে সংক্রমণের গ্রাফ চড়ছে। রাজ্য়ে দৈনিক সংক্রমণ তো আবার ৩ হাজারের ওপরে (তাও না কি রেখে ঢেকে?)। এসব শোনার পর, শিক্ষামন্ত্রীকে কিছু বলতে দেখলেই বুক ঢিপ ঢিপ করে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, একুশের সমাবেশ মিটলেই ঝুলি থেকে আসল বেড়াল ম্যাও করবে।
একুশের কথায় বুঝলেন তো? অমর একুশে নয়, একুশের শহিদ সমাবেশ। ভার্চুয়ালের মায়া কাটিয়ে, এবার আবার একুশে পালন। হই হই কাণ্ড, রই ব্যাপার মশাই। মেলা লোক আসবে। থাকবে, খাবে, ভাষণ শুনবে। তারপর জনসমুদ্রে ভেসে বাড়ি ফিরবে। সঙ্গে করে ভাইরাস নিয়ে যাবে না তো? রক্কে করো রগুবীর, ছোটাছুটি, বকাবকি, গন্ডি কাটাকাটির দিন না ফিরে আসে। যাক গে রাজনীতি হল সেই বস্তু, যা আমাদের প্রতিদিন অবাক করে। এই যেমন বখরা নিয়ে ঝগড়াতে আর দলবাজি করবে না বলে ঠিক করেছে তৃণমূল। এমনকি দলের বিধায়ককে ডেকে পাঠাচ্ছে দুর্নীতি দমন শাখা। ভাবা যায়!
যাক গে শাসক স্বচ্ছ হোক, তবেই তো ব্যাটে বলে ছক্কা হাঁকাবে নতুন তৃণমূল। কিন্তু ওদিকে যে সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ, অনশন বন্ধ হয়ে গেল! এসব নিয়েই কথা হবে। যে কথাগুলো না বললেই নয়। টিভি নাইন বাংলায়, রাত ৮.৫৭।