এবার করোনার টিকা নিয়ে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক!
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দেন, যাতে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা না নেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র।
কলকাতা: এবার টিকা নিয়ে বিতর্কে বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শীলভদ্র দত্ত (Shilbhadra Dutta) টিকা নিচ্ছেন। ছবিটি বারাকপুর বিএন বোস হাসপাতালের। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
এর আগে শাসক বিধায়করা টিকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় টিকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। রবিবার প্রকাশ্যে আসে করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংয়ের টিকা নেওয়ার ছবিও। সোচ্চার হয় প্রধান বিরোধী পক্ষ। বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, সাধারণ মানুষ নয়, নিজেকেই বাঁচাতে ব্যস্ত শাসকদলের বিধায়করা। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম জলঘোলাও হয়।
এরই মধ্যে বিপাকে বিজেপি। কারণ তাঁদেরই দলের বিধায়কের টিকা নেওয়ার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এবিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে বিতর্ক বাড়তেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই বিধায়ক ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। শীলভদ্র দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনপ্রতিনিধিদের এই টিকা নিতে না করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ তিনি রাখতে পারেননি। তাই জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থী’।
আরও পড়ুন: চলবে না ভ্যাকসিনের অপচয়! কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
উল্লেখ্য, ভারত সরকারের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় করোনার টিকা নেওয়ার কথা লড়াইয়ের প্রথম সারিতে থাকা যোদ্ধাদের। অর্থাৎ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই প্রথম দফায় টিকা দেবে সরকার। এবিষয়ে আগে থেকেই রাজ্যগুলিকে সচেতন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দেন, যাতে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা না নেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র।