AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ তো আর দু-তিন মাস’, অর্ন্তবর্তী বাজেটের পর কটাক্ষ বিরোধীদের

শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট পেশ শুরু করতেই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান। বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট করা হয়।

'মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ তো আর দু-তিন মাস', অর্ন্তবর্তী বাজেটের পর কটাক্ষ বিরোধীদের
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Feb 05, 2021 | 9:55 PM
Share

কলকাতা: ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’-এর ছলে কার্যত পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার সন্ধেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিরোধীরা। তবে সব রাজনৈতিক দলের বক্তব্য একটাই, “এই সরকার তো আর পাঁচ বছর নেই।” মমতা অযথাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে গেলেন।

রাজ্যের বাজেটের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল ‘ভোটমুখী ভাঁওতায়’ ভরপুর। তাঁর প্রশ্ন, “এত কিছুর জন্য টাকা আসবে কোথা থেকে? ভো’টের দুমাস আগে ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কী করে সম্ভব? এটা বাজেট নয়, ভোট ভাষণ।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা, “তিন মাস পর ভোট। সরকারে আসবে কিনা ঠিক নেই। কী করে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করছেন? এটা তৃণমূলের নির্বাচনের ইস্তেহার। কী ভাবে সারা বছরের খরচের কথা বলছেন? কী ভাবে এত প্রকল্প কথা বলছেন? চাকরির কথা কোথায়?”

অন্যদিকে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, “মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে কিছু অযথা কথা বললেন। এটা তো বাজেট নয়, ভোট অন অ্যাকাউন্ট। সবই তো বলছেন ৫ বছরে কী করবেন। পাঁচ বছর তো আপনি নেই। আপনি আছেন তো আর দু’মাস বা তিন মাস। আবোল তাবোল কথা বলছেন খালি। এখন নেতাজির কথা কি মোদীজি এসে মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন?” প্রশ্ন সুজনের।

আরও পড়ুন: ভোটমুখী বাজেটে ‘কল্পতরু’ হওয়ার চেষ্টা মমতার, এক নজরে বড় ১০ পয়েন্ট

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাজেট পাঠ করতে ওঠার সময় থেকেই বিরোধী ক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করার পর বিরোধীরা কার্যত কটাক্ষের ঝড় তুললেন। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট পেশ শুরু করতেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান। শেষ পর্যন্ত স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরা ওয়াকআউট করেন। বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ বয়কট করা হয়।

আরও পড়ুন: বন-সহায়ক পদে প্যানেল ছাড়াই নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা