AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বন-সহায়ক পদে প্যানেল ছাড়াই নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা

রাজ্য সরকারের পদে যেখানে ইন্টারভিউর ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে কীভাবে প্যানেল ছাড়াই এই নিয়োগ হয়ে গেল? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীরা।

বন-সহায়ক পদে প্যানেল ছাড়াই নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা
ফাইল চিত্র
| Updated on: Feb 10, 2021 | 4:06 PM
Share

কলকাতা: বন-সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এবার দায়ের হল মামলা। সূত্রের খবর, সজল দে নামক এক আবেদনকারী স্যাটে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়ের করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্যানেল ছাড়াই কীভাবে সরকারি আধিকারিক নিয়োগ করা হল সংশ্লিষ্ট পদে। রাজ্য সরকার এদিন বন-সহায়ক পদে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই এই মামলার তথ্যটি প্রকাশ্যে আসে।

২০২০ সালের অগস্ট মাসে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের বন-সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। যেখানে শূন্যপদ ছিল প্রায় দু’হাজার। মাত্র দু’হাজার পদের জন্য দু’লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু প্যানেল প্রকাশ হয়নি। গত কয়েকদিনে মুখ্যমন্ত্রী বনাম প্রাক্তন বনমন্ত্রীর তরজার ফলেই জানা যায়, বন-সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবারই আবার রাজ্য মন্ত্রিসভা বন-সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তদন্তে সায় দিয়েছে। রাজ্য সরকারের পদে যেখানে ইন্টারভিউর ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে কীভাবে প্যানেল ছাড়াই এই নিয়োগ হয়ে গেল? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীরা।

মামলার আইনজীবী আশীষ চক্রবর্তী এই নিয়ে বলেন, “সজল দে-সহ কয়েকজন মামলা করে জানতে চেয়েছেন প্যানেল ছাড়া নিয়োগ হল কীভাবে?” আগামী সপ্তাহে ট্রাইব্যুনাল কোর্টে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বন-সহায়ক পদে নিয়োগে যে ‘কারসাজি’ হয়েছে, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে প্রথম মমতাই অভিযোগ তুলেছিলেন। তারপর পালটা ‘কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে’ বলে সুর চড়িয়েছিলেন রাজীবও। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে। সমুদ্র উথালপাথাল হয়ে যাবে।” ভোটের আগে বন-সহায়ক পদে নিয়োগের মামলা এখন এতটাই স্পর্শকাতর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সঠিকভাবে তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হওয়ার পরিস্থিতি হতে পারে। এমন সুরও শোনা গিয়েছিল রাজীবের গলায়। নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিত তৃণমূল সুপ্রিমোর দিকেই ছিল বলে মত রাজনীতির কারবারিদের। শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরও রাজীব নিরুত্তাপই রয়েছেন। তদন্ত প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “তদন্তকে স্বাগত জানাই। তবে শুধু একটা কেন, সব নিয়োগ নিয়ে তদন্তের দাবি করছি।”

আরও পড়ুন: বন-সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজি’! তদন্তে সায় মমতার মন্ত্রিসভার