AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বন-সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজি’! তদন্তে সায় মমতার মন্ত্রিসভার

দু'দিন আগেই যে আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা এবার কার্যত বাস্তবায়নের পথে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যরা আজ সম্মিলিতভাবে সম্মত হয়েছেন এবং তদন্তে অনুমোদন দিয়েছেন।

বন-সহায়ক পদে নিয়োগে 'কারসাজি'! তদন্তে সায় মমতার মন্ত্রিসভার
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
| Updated on: Feb 05, 2021 | 4:37 PM
Share

কলকাতা: যেমন কথা তেমন কাজ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ছেড়ে যাওয়া মন্ত্রকে বন-সহায়কের পদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে সায় দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা (Mamata Banerjee Cabinet)। দু’দিন আগেই যে আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা এবার কার্যত বাস্তবায়নের পথে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যরা আজ সম্মিলিতভাবে সম্মত হয়েছেন এবং তদন্তে অনুমোদন দিয়েছেন।

আজকের সিদ্ধান্তের দ্বারা তৃণমূল সরকার একটা ইঙ্গিত পষ্টাপষ্টিভাবে বিরোধী শিবিরে পৌঁছে দিতে চাইল। তা হল- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যতই হাটে ‘হাঁড়ি ভাঙার’ হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকুন না কেন, তা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয় সরকারের শীর্ষতম নেতৃত্ব। সূত্র মারফত খবর, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনেক মন্ত্রীকে বারবার একটা কথা বলতে শোনা যায়। মন্ত্রীরা প্রত্যেকে এই অভিযোগ করেন যে, বন-সহায়ক দফতরে এমন মানুষ নিয়োগ করা হয়েছে যাঁদের বন-জঞ্জল সম্পর্কে ধারণা কম। যে কারণে বন-সহায়ক নিয়োগ, তার বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে সবাই বলেছেন, তদন্ত হওয়া উচিত।

রাজ্য সরকারের কথা মতো যদি তদন্ত শুরু হয় তবে সেই তদন্তের নিশানায় খোদ তৃণমূল ত্যাগী রাজীব মুখোপাধ্যায় থাকবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল একপ্রকার নিশ্চিত। দু’দিন আগে সভা থেকে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মমতা বলেছিলেন, বন-সহায়ক দফতরের নিয়োগে অনেক ‘কারসাজি’ হয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। এই নিয়ে তদন্ত হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। মমতার সেই ‘হুমকি’র কিছু পরেই অবশ্য পালটা হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন বনমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেছিলেন, “আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: জোড়াবাগান কাণ্ড: গলা কেটে শিশুকে খুনের পর বাকি বিরিয়ান, মদ শেষ করে দারোয়ান, রাস্তায় হাঁটতে বেরোয়…

দল ছাড়ার পর থেকে দলনেত্রীকে কোনও কটূক্তি করেননি রাজীব। তবে গুড়াপের সভা থেকে তিনি বলেন, “অর্থ দফতরের অনুমোদন নিয়ে বন দফতরের নিয়োগ। বন সহায়ক দফতরের প্যানেল প্রকাশ করুন। বলি, প্যানেল বাতিল করুন। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।” তারপরই বললেন,”আমি মুখ খুললে বট গাছ নড়ে যাবে। সমুদ্র উথাল পাতাল হয়ে যাবে। মন্ত্রিত্ব ছাড়া পর্যন্ত মনে ছিল না কারসাজির কথা। কেন তখনই আমাকে দল থেকে তাড়ানো হয়নি।”

আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিলেন দীপঙ্কর দে, ভরত কল-সহ টলিউডের একঝাঁক শিল্পী