AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Demand of School Reopening : ‘ড্রপ আউট’দের ফেরাতে খোলা হোক স্কুল-কলেজ, হাইকোর্টে জমা পড়ল জনস্বার্থ মামলা

School Drop Outs in West Bengal: সরকারকে ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও মনে করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, এই মামলাটির শুনানি হতে পারে।

Demand of School Reopening : 'ড্রপ আউট'দের ফেরাতে খোলা হোক স্কুল-কলেজ, হাইকোর্টে জমা পড়ল জনস্বার্থ মামলা
খুলছে ছোটদের স্কুল। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 5:47 PM
Share

কলকাতা: লকডাউনে (COVID 19 Lockdown) স্কুলছুট পড়ুয়াদের ফের স্কুলমুখী করার জন্য এবং স্কুল ও কলেজগুলিকে খোলার বিষয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাটি করেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাকারীর বক্তব্য, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। অথচ শিক্ষা থেকেই কার্যত বাধ্য হয়ে বঞ্চিত অনেকে। বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়াশোনা করছে পড়ুয়ারা। অথচ সেই টাকা যোগাবে কে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, ঠিক কতজন পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে, তার হিসেব কারও কাছে নেই। সরকারকে ছাত্র – ছাত্রীদের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও মনে করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, এই মামলাটির শুনানি হতে পারে।

একটি অংশে পড়ুয়ারা ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে শিক্ষা থেকে

করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার পরপরই ২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন বাকি জনজীবনের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থাও। স্কুল, কলেজগুলির গেটে তালা পড়ে গিয়েছিল পড়ুয়াদের জন্য। মাঝে কয়েক বার জন্য স্কুল খোলার চেষ্টা করা হলেও তা বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুদিন চালু হওয়ার পরই ফের করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল স্কুল। আর এই সময়ে পড়ুয়াদের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস চালু হওয়ার পর থেকে একটি বড় অংশের পড়ুয়া ক্রমেই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোত থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে আর্থিক দিক থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের পড়ুয়াদের এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের। অনেকের বাড়িতেই স্মার্টফোন নেই, আবার অনেকের স্মার্ট ফোন থাকলেই সেই গ্রামে ইন্টারনেটে পরিষেবার স্পিড ভাল নয়। এমনই একগুচ্ছ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল পড়ুয়াদের।

ড্রপ আউটদের ফেরাতে স্কুল খোলার আর্জি

আর এইসবের সাঁড়াশি চাপের মধ্যে পড়ে, পেটের দায়ে অনেক পড়ুয়াই স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়েছে। কেউ পরিবারের কাজে হাত লাগিয়েছে। সম্প্রতি স্কুল চালু হওয়ার পর ফের পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরানোর পর্ব শুরু হয়েছিল। অভ্যেসে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছিল। আর ঠিক সেই সময়েই স্কুল ফের বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে স্কুলছুটদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, আশঙ্কা করছেন অনেকে। আর তাই এখন বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে – রাজ্যে কলেজ পড়ুয়াদের বয়স মূলত ১৮ ঊর্ধ্ব। তাঁদের জন্য টিকাকরণ পর্ব আগেই হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ১৫-১৮ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদেরও ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল – কলেজগুলি ফের যাতে খুলে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : Weather Update: ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে, লেপ-কম্বল গুটিয়ে রাখার সময় কি এসে গেল?