Primary Recruitment: প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে ভূরি ভূরি নম্বর মিলল কীভাবে! এবার তথ্য জানতে তৎপর পর্ষদ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 28, 2023 | 7:17 AM

Primary Recruitment: ওই বছরের নিয়োগ নিয়ে আগেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।

Primary Recruitment: প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে ভূরি ভূরি নম্বর মিলল কীভাবে! এবার তথ্য জানতে তৎপর পর্ষদ
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কলকাতা: অ্যাকাডেমিকসে নম্বর কম, আর ইন্টারভিউতে ভূরি ভূরি নম্বর! ২০১৬-র প্রাথমিকে নিয়োগ (Primary Recruitment) প্রক্রিয়ায় বিস্তর গোলযোগোর অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার সেই তথ্য জানতে তৎপর হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন সেই সময়? তা জানতে চায় পর্ষদ। প্রত্যেকটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নথি তলব করা হয়েছে। বিশেষত জেলাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদের নাম, ফোন নম্বর জানতে চায় পর্ষদ। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সেই জমা করতে হবে বলে পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তথ্য জমা পড়বে আদালতে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে।

ওই বছরের নিয়োগ নিয়ে আগেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। অ্যাপ্টিটিউট টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সেই মামলার শুনানিতে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্য গ্রহণও করেছেন বিচারপতি। অনেকেই বলেছেন বেশির ভাগ জেলায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। শ্রেণিকক্ষের বদলে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নেওয়া হয়ে থাকলে, সে ক্ষেত্রে নম্বর কী ভাবে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারীর আইনজীবীরা।

অন্যদিকে, প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ফের জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। জেলবন্দি মানিককে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহিলা পারভিন নামে ২০১৭ সালের এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। এর জন্য নির্ধারিত টাকা দিয়ে আবেদন করা সত্ত্বেও তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই সময় পর্ষদে দায়িত্বে ছিলেন মানিক। এর আগেও আদালত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করেছিল। এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, ৮ বছর পরও পরীক্ষার ফল জানায়নি পর্ষদ। সেই সময়েও পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

Next Article