AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sukanta Majumdar: ‘সব হিন্দু পৃথ্বীরাজ নন, কেউ জয়চন্দ্রও হয়…’, দিলীপ-অভিজিৎ জল্পনার মাঝে ইঙ্গিত সুকান্তর

Protest Against Sukanta Majumdar: সুকান্তর এই মন্তব্যকে একেবারে 'সহজপাচ্য' তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত হিসাবে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ যখন বারংবার জুড়ে যাচ্ছে দিলীপ-অভিজিতের নামটা সেই আবহে এই মন্তব্যের একাধিক মুখ থাকতে পারে বলেই মত তাঁদের।

Sukanta Majumdar: 'সব হিন্দু পৃথ্বীরাজ নন, কেউ জয়চন্দ্রও হয়...', দিলীপ-অভিজিৎ জল্পনার মাঝে ইঙ্গিত সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদারImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2025 | 8:41 PM
Share

কলকাতা: কেউ দল করেন সেই ছোট থেকে, কেউ আবার একুশ সালের পর থেকে। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া যুবকদের পরিচয় নিয়ে বেড়েছে অস্বস্তি। বিজেপি দায় ঠেলেছে তৃণমূলের দিকে। পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের দাবি, গোটাটাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থক বলে।

অবশ্য এই সব দাবি মানতে নারাজ সুকান্ত। এই ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব ‘তত্ত্ব’ রয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ‘রাবন যখন সীতাকে হরণ করে গিয়েছিলেন তখন গেরুয়া পরেছিল। যা দেখে সীতাও ভুল করেছিলেন। তেমনই সবই গেরুয়া বিজেপি নয়। সব হিন্দু পৃথ্বীরাজ চৌহান হয় না। কিছু কিছু জয়চন্দ্রও হয়। তাঁদের থেকে বেঁচে থাকতে হবে।’

সুকান্তর এই মন্তব্যকে একেবারে ‘সহজপাচ্য’ তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত হিসাবে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ যখন বারংবার জুড়ে যাচ্ছে দিলীপ-অভিজিতের নামটা সেই আবহে এই মন্তব্যের একাধিক মুখ থাকতে পারে বলেই মত তাঁদের। এই বিক্ষোভের পর প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি ভিডিয়ো। যা ঘিরে চর্চা অনেক। ওই ভিডিয়োয় কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে দু’টো গলা শোনা যাচ্ছে। একাংশের দাবি, একটি গলা সুকান্তর। তিনি বলছেন, ‘এঁরা সব ববির লোক’। এই ববি ওরফে অভিজিৎ দাস আবার দিলীপ-ঘনিষ্ঠ। যে তত্ত্বে শান দিচ্ছে তৃণমূলও।

দলের মুখপাত্র তথা কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘরের মধ্যেই অন্তর্কলহ। দিলীপ ঘোষকে জেতা সিট থেকে সরিয়ে হারা সিটে দেওয়া। তারপর তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করা। এই গোটা ব্যাপারটাকে আমরা গোয়াল ঘরে গুঁতোগুঁতি হিসাবেই দেখছি। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’ অবশ্য, সেই গলা যে তাঁর তা মানতে নারাজ সুকান্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘এই গলা আমার নয়, এআই দিয়ে করছে। বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে।’ অন্য়দিকে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত্ত্ব উড়িয়েছেন দিলীপও। তাঁর সাফ কথা, ‘আমি এখন আন্দামানে রয়েছি। এসব বিষয়ে কিছু জানি না। আর বিজেপির অন্দরে কেউ কাউকে গো ব্যাক বলে না। এসব তৃণমূলী সংস্কৃতি।’