আর্থিক প্রতারণায় কান টেনেছে পুলিশ! এবার রাখাল বেরার থেকেই মাথাদের খোঁজ পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরা (Rakhal Bera)। তাই তাঁর গ্রেফতারি অত্যন্ত রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আর্থিক প্রতারণায় কান টেনেছে পুলিশ! এবার রাখাল বেরার থেকেই মাথাদের খোঁজ পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা
ছবি: ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2021 | 5:45 PM

কলকাতা: গ্রেফতার শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। আজ, রবিবার রাখাল বেরাকে আদালতে পেশ করা হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরা (Rakhal Bera)। তাই তাঁর গ্রেফতারি অত্যন্ত রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সুজিত দে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাখাল বেরা ও চঞ্চল বেরার নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুজিত দে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৯ সালে সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে রাখাল বেরা ও চঞ্চল বেরা কয়েক দফায় মোট ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি তিনি পাননি। টাকাও ফেরত পাননি। মানিকতলা থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। রাখাল বেরাকে আজ আদালতে তোলা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ জানতে চাইছে, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত। ইতিমধ্যেই চঞ্চল বেরার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাখাল বেরা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “এটা একটা তদন্ত হচ্ছিল। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্বে থাকাকালীন চাকরি দেওয়ার নাম করে কিছু আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল।”

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের মমতাকে বিঁধলেন রাজ্যপাল! ভিডিয়ো-সহযোগে মধ্যরাতে করলেন বিস্ফোরক টুইট

রাজ্যের সেচ মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেচ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁরা দুজনেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সাইক্লোন ইয়াসের দাপটে বাংলায় কয়েকশো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। জলমগ্ন হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সর্বসান্ত হয়েছেন মানুষ। কীভাবে সেইসব বাঁধ ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কীভাবে এত বাঁধ ভাঙল তার জন্য তদন্ত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও ব্যাপারটিতে তৎপর হন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতার নিশানায় প্রাক্তন দুই মন্ত্রী। তদন্তের শুরুতেই গ্রেফতার হয়েছেন রাখাল বেরা। এবার দেখার কান টানলে কি মাথা আসে?