কলকাতা: রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক ব্যালান্স শিট হাতে আসছে ইডি-র, আর চমকে যাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এরই মধ্যে আনিসুর রহমান ও আলিফ নূর ওরফে মুকুল ও বিদেশ গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁদের কোটি কোটি টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে আসছে। কীভাবে পরিবারের লোকজনকে ভুয়ো চাষি সাজিয়ে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করতেন, জেরা করে সে কথা জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। এবার তদন্তে উঠে মিলল আর পাঁচ সংস্থার হদিশ।
ইএইচ গ্রুপ অব কোম্পানির আওতায় থাকা ১৩ সংস্থার কথা জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পার্টনার হিসেবে রয়েছেন সেই সব সংস্থায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর হিসাব রক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সেই সব সংস্থার নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলির ব্যালান্স শিট দেখতে গিয়ে ইডি অফিসাররা জানতে পেরেছেন ও সংস্থাগুলির নামে এসেছে কোটি কোটি টাকা।
৩০ নম্বর স্ট্র্যান্ডরোড হল সংস্থার ঠিকানা। ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া আছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সংস্থার পাঁচ কোটি টাকা এসেছে ওই সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টে। মুকুল ও বিদেশের কাছ থেকে এসেছে ওই টাকা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩ সংস্থার হদিশ পাওয়া গেল। কোথাও পার্টনার হিসেবে রয়েছেন বালু, কোথাও ডিরেক্টর হিসেবে। ব্যালান্স শিট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এই ১৩ সংখ্যাটাই বালুর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে না তো? সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।
নতুন করে যে ৫ সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেই সংস্থাগুলির নাম হল- ইএইচ গ্রীনিশ কোম্পানি, ইএইচ সেন্ট্রা অ্যান্ড মার্ট কোম্পানি, ইএইচ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি, ইএইচ পিকাসো কোম্পানি, ইএইচ গ্রীনরাশ কোম্পানি।