‘আমি ওই মহিলা সম্পর্কে কিচ্ছু বলতে চাই না’! বৈশাখী নামেই অনীহা শোভন-পত্নী রত্নার

স্বামীর গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে সিবিআই দফতরে ছুটেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। সোমবার বেশ কিছুক্ষণ নিজাম প্যালেসে থেকে বেরিয়ে যান শোভন-জায়া।

'আমি ওই মহিলা সম্পর্কে কিচ্ছু বলতে চাই না'! বৈশাখী নামেই অনীহা শোভন-পত্নী রত্নার
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 18, 2021 | 8:38 PM

কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Shovan Chatterjee) গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা পর মুখ খুললেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। গলায় এক রাশ অভিমান, কিছুটা উষ্মা। মনে করলেন ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বরের দিনটা। যেদিন স্ত্রী, পরিবার ছেড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শোভন। কিছুদিন পরই স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস। সেই প্রথম শোভনের বান্ধবী হিসাবে শিরোনামে উঠে এসেছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।

স্বামীর গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে সিবিআই দফতরে ছুটেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বেশ কিছুক্ষণ নিজাম প্যালেসে থেকে বেরিয়ে যান শোভন-জায়া। এরপর গভীর রাতে যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর সংশোধনাগারে পাঠানো হচ্ছে তখন হঠাৎই শোভনের পিছনে দেখা যায় তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি ও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মধ্যরাতে একেবারে নাটকীয় ভাবে আলিপুর সংশোধনাগারের গেটে বৈশাখীর কান্নাকাটি, শোভনের সঙ্গে দেখা করার জন্য চিৎকার, এমনকী মঙ্গলবার উডবার্নে ভর্তি হতে চেয়েও নানা আবদারের অভিযোগ।

আরও পড়ুন: শোভনের সঙ্গেই উডবার্নে থাকতে দিতে হবে! নাছোড় বৈশাখীর আবদারে নাজেহাল চিকিৎসকরা

এরপর রত্না আবারও অন্তরালেই চলে গিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার শোভন-জায়ার গলায় অভিমানের স্বর, “সতেরোর নভেম্বরের ৫ তারিখ বাড়ি ছেড়েছিল। সেই যে ভুল পদক্ষেপ করেছিল, বাড়ির বাইরে পা দিয়েছিল, সেই থেকে কাল পর্যন্ত যা করেছে যত কাজ করেছে ভুল করেছে।” রত্নার দাবি, “ওনাকে বলা হয়েছিল, রত্না চ্যাটার্জিকে ছেড়ে দিলে জেল হবে না। উনি সেই আনন্দে নাচতে নাচতে রত্নাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমাদের পরিবারকে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। তবু আমার মত মহিলা বলে পরিবার নিয়ে লড়াই করে চলছি।”

মঙ্গলবার সারাদিন শোভনকে আগলে রাখতে দেখা গিয়েছে বৈশাখীকে। অভিযোগ, এসএসকেএমের উডবার্নে ভর্তি হওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্তাকে পর্যন্ত অনুরোধ জানিয়েছেন শোভনের এই ‘অধ্যাপিকা’ বান্ধবী। নাছোড় বৈশাখী, শোভনের পাশের কেবিনে থাকতে চেয়েছেন। অসুস্থ ‘বন্ধু’কে নজরছাড়া করতে চান না তিনি। যদিও বৈশাখীর কথা উঠতেই বিরক্তি রত্নার গলায়, “আমি ওই মহিলা সম্পর্কে একদম কিছু বলতে চাই না। কিচ্ছু বলতে চাই না। আমি যত মুখ খুলব ওর সম্পর্কে তত আমার মুখটা নোংরা হয়ে যায়। ওনার (শোভনের) পাশে থেকে বুদ্ধি দিয়ে শেষ করে দিয়েছেন। উনি চলুক, দেখি না কত দূর চলতে পারে।”

আরও পড়ুন: সুব্রত-মদন-শোভনের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড

এত রাগ-অভিমান, তবু সোমবার ছুটে গেলেন কেন রত্না? সে কারণও ভাঙলেন, “আমি গেছিলাম। আমার তো স্বামী। ২২ বছর ঘর করেছি। সেপারেশন চললেও এখনও আইনত উনি আমার স্বামী। আমার মনে হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে আমি, আমার ছেলে যদি যাই পাশে, দেখলে হয়ত মনে একটু সাহস পেতে পারেন। উনি সাহস পেয়েছেন কি না জানি না। আমার মনে হয়েছে, এরকম বিপদে আমার পরিবার যদি পাশে থাকে আমি অনেকটা সাহস পাব।”