Recruitment Scam: ‘জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি’, ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে বিস্ফোরক বসিরহাটের ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষ

Recruitment Scam: সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন।

Recruitment Scam: 'জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি', ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে বিস্ফোরক বসিরহাটের ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষ
ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষদের তলব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 1:07 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এবার বেসরকারি ডি এল এড কলেজ কর্তৃপক্ষদের তলব ইডির। সূত্রের খবর, ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইডি-র অফিসে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তলব করা হয়েছে। বেসরকারি বিএড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তারপরেই ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন।

এদিন ইডি দফতরে ঢোকার সময়ে রীতিমতো বিস্ফোরক বসিরহাট মহাবোধি কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। ওই কলেজের তরফে ইডি দফতরে এসেছিলেন সুজিত সরকার। তিনি বলেন, “তাপস মণ্ডল এবং বেসরকারি বি এড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের নির্দেশে টাকা দিয়েছিলাম মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। তখন জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি। ইডি ডেকেছে, তাই এসেছি।”

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই তথ্য এসেছে, রাজ্য জুড়ে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। রাজ্যের সমস্ত ডিএলএড কলেজ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সেই সব বিষয়েই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কর্তৃপক্ষকে করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আগেই অবশ্য তদন্তকারীদের জেরার মুখে পড়ার আগেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর এককালীন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল। মুখ খুলেছিলেন পর্ষদের বিরুদ্ধেও। তাপস দাবি করেছিলেন,  “পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।” স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য ইডি আধিকারিকদেরও দিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই এদিনের তলব। মনে করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁদের।

তদন্তে জানা গিয়েছে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের একটি কনসালটেন্সি সংস্থা ছিল। বেসরকারি বিএড কলেজগুলিকে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা তুলেছিল। কিন্তু অভিযোগ, কোনও রকমের পরিষেবা দেওয়া হয়নি কলেজগুলিকে। সেক্ষেত্রেও টাকার হিসাব নিকেশ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এই সব বিষয়গুলিই তদন্তকারীরা জানতে চান।

প্রসঙ্গত, ইডি-সিবিআই তদন্তের মাঝেই রাজ্যের সব ডিএলএড কলেজের প্রিন্সিপ্যালদের জরুরি তলব করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ১৮ অক্টোবর তাঁদের প্রত্যেককে ডাকা হয়েছিল।