কলকাতা: SSC-র ভুলগুলো আগেই স্বীকার করা উচিৎ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কত জন ভুয়ো চাকরি পেয়েছেন, তা আগেই শনাক্ত করার প্রয়োজন ছিল এসএসসি-র। অন্যায়ভাবে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি এখুনি বাতিল হওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময়ে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তখন বলেন, “সেটাই করা হয়নি। যে কোনও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান তাই করে৷ এক্ষেত্রে এসএসসি সেটা করেনি। সম্পূর্ণ তালিকা দেয়নি। স্ক্যান করে বলেনি এত জন ভুল ভাবে চাকরি পেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথ নথি ছাড়া আইনজীবীদের বাদ দিয়ে নিজেরাই এটা করেছে। ১৮৩ সঠিক নয়।” তিনি আবারও বলেন, “আবার অনুরোধ করব, যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা সম্পূর্ণ দেওয়া হোক।”
সে সময় বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পুরো প্যানেল কি বাতিল করার দরকার আছে? নাকি যাঁরা ভুয়ো নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বাতিল করলেই চলবে?” বিচারপতি বিস্ময়প্রকাশ করে বলেন, “মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়!”
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “সিবিআই তদন্ত চলছে। শুধু চাকরি বাতিল নয়, যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হোক।” মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, মূল অফিস থেকে না দিয়ে অন্য অফিস থেকে ভুয়ো সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। এটা সুপরিকল্পিত দুর্নীতি।
বিচারপতি তখন বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবীকে বলার সুযোগ দেন। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রথম আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বিচারপতি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দিয়েছেন। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ চুরি করল, ঘুষ নিল তার অর্থ এই নয় চাকরি পেয়েছেন যাঁরা. তাঁরাও চুরি করেছেন। তাহলে তাঁদের এখনও গ্রেফতার করা হল না কেন?” আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ বেঞ্চে সওয়াল করেন, “কাউকে বলতে দেওয়া হয়নি সিঙ্গল বেঞ্চে। SSC সব সময় ভয় পেয়েছে আদালতে।” মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।