কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ কোর্ট। তবে এই রায়ে অখুশি নাগরিক সমাজের একাংশ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্টত জানিয়েছেন, “এই ধরনের নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।” তবে রায় নিয়ে নাখুশ আরও এক নির্যাতিতা, নির্ভয়ার বাবাও। টিভি ৯ বাংলায় সে কথা বললেন তিনি।
নির্ভয়ার বাবা বলেন, “পুলিশ যখন তদন্ত হাতে নেয়, তাদের উপর নির্ভর করে কেস কতটা এগোবে কতটা নয়। সঞ্জয় রাই একা নয়। এর সঙ্গে আরও কেউ আছে। পুলিশ একজনকেই ধরেছে। কোর্ট যা বলবে তা হবে।” বস্তুত, আরজি-করের ঘটনায় গত শনিবার মোট তিনটি ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই তিন ধারার মধ্যে সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। সোমবার সেই মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে, এই তিনটি ধারা দেওয়া হলেও তা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ বলে মনে হয়নি।
এ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন নির্ভয়ার বাবা। তিনি বলেন, “ফাঁসি হওয়াই উচিত। ফাঁসি তো সঙ্গে সঙ্গে হয় না। ফাঁসির সাজা শোনানো উচিত ছিল। আমি তো শুনেছি বিচারক বলেছেন, এটা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা নয়। বিচারকের উচিত গাইড লাইন লেখা, যে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা কাকে বলে? কেমন ঘটনা ঘটলে তাকে বিরলতম বলে? তবে দেশের জন্য ভাল ঘটনা হল না।”